তামিমের ফিফটিতেও বাংলাদেশ ১৩৬
প্রকাশিত : ১৬:৫৪, ২৫ জানুয়ারি ২০২০
তামিম ইকবাল
হারলেই সিরিজ হাতছাড়া, আর জিতলে সিরিজে সমতা। এমনই কঠিন সমীকরণের ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। যাতে তামিম ইকবালের ফিফটি সত্ত্বেও পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েটিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ।
আজ শনিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৩৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ফলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এছাড়া আফিফের ২১ ও রিয়াদের ১২ রান উল্লেখযোগ্য।
প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ আজও আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৫ রানে হারায় ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখের উইকেট। প্রথম ওয়ানডেতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা নাঈম এদিন ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি।
এদিন তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুফল পাননি মারকুটে মেহেদি হাসান। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ায়ের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিলেটে শ্রীলংকার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ১১ রানে আউট হওয়া এ অলরাউন্ডার দুই বছর পর জাতীয় দলে ফিরে করেন ১২ বলে মাত্র ৯ রান।
যাতে ৪.২ ওভারে দলীয় ২২ রানে মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মেহেদী। হাসনাইনের করা ওই ওভারের পঞ্চম বলেই অবশ্য ক্যাচ তুলে দেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।
সরফরাজের বদলে দলে জায়গা পাওয়া উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ান কট বিহাইন্ড করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ক্যাচটি তিনি গ্লাভস বন্দি করতে পারেননি। ১৬ রানে জীবন পান তামিম।
এদিন এক ধাপ নিচে চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের হাল ধরতে পারেননি জাতীয় দলের ওপেনার লিটন কুমার দাস। ১৪ বলে মাত্র ৮ রান করে শাদাব খানের ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৪১ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
১৪.১ ওভারে দলীয় ৮৪ রানে মোহাম্মদ হাসনাইনের আবেদনে সারা দিয়ে তামিম ইকবালকে এলবিউব্লিউ আউট দেন আম্পায়ার। ৪৪ রানে ব্যাটিংয়ে থাকা তামিম রিভিউ নিয়ে সফল হন। হাসনাইনের করা ওই ওভারের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে থার্ডম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা হারিস রউফের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আফিফ হোসেন। তার আগে ২০ বলে এক চার ও সমান ছক্কায় ২১ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ১৪.৪ ওভারে ৮৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর দলিয় ১১৭ রানে তামিম এবং ১২৬ রানের সময় মাহমুদউল্লাহ আউট হন। যাতে এদিনও বড় স্কোরের স্বপ্ন মাটি হয়ে যায় টাইগারদের।
স্বাগতিকদের পক্ষে মোহাম্মদ হাসনাইন ২০ রানে ২টি এবং আফ্রিদি (২২ রানে), হারিস রউফ ও শাদাব খান ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এনএস/