বড় পরাজয়ে সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ১৮:৫০, ২৫ জানুয়ারি ২০২০
দুই ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও বাবর আজম
ম্যাচটির চিত্রনাট্য ছিল আগের মতোই। ফল যা হওয়ার ছিল তা-ই হয়েছে। প্রথম ম্যাচের চেয়েও বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। আজ শনিবার ৯ উইকেটের বিশাল জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করল পাকিস্তান। এখন শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই নামতে হবে বাংলাদেশকে।
এর আগে শুক্রবার সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৪১ রান তুলে পাকিস্তানের সেরা ক্রিকেটার বাবর আজমকে প্রথম বলেই ফিরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবুও ম্যাচ জিততে পারেনি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল। আর আজ প্রথম ম্যাচের রানটাও তুলতে পারেনি বাংলাদেশ, যায়নি বাবরকেও দ্রুত ফেরানো।
১৩৬ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়ে বিশ্বের এক নম্বর দলের বিপক্ষে লড়াই করা পাগলামির মতোই। যা হওয়ার ছিল তাই হয়েছে শেষ পর্যন্ত। প্রথম ম্যাচের চেয়েও বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ নয় উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তাও ২০ বল হাতে রেখেই। টানা দুই জয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল পাকিস্তান। হোয়াইটওয়াশে লজ্জা এড়াতে হলে শেষ ম্যাচটা জিততে হবে মাহমুদুল্লাহদের। আগামী ২৭ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি।
এদিন লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১৩৬ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিং করতে নেমে শুরুতেই অবশ্য উইকেট তুলে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা বাবর আজমকে ফেরাতে পারেননি আল-আমিন, শফিউলরা।
যার ফলে এদিন মোহাম্মদ হাফিজও চড়াও হয়েছেন বাংলাদেশি বোলারদের ওপর। দুজনের ১৩১ রানের অপরাজিত জুটিই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের বড় পরাজয়।
ম্যাচ সেরা বাবর ৪৪ বল খেলে ৭টি চার ও এক ছয়ে ৬৬ রান করেন। আর হাফিজ করেন ৪৯ বলে নয় চার ও এক ছয়ে ৬৭ রান। যাতে শেষ পর্যন্ত ১৬.৪ ওভারে মাত্র এক উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য ১৩৭ রান তুলে ফেলে স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের পতন হওয়া একটি মাত্র উইকেট পেয়েছেন শফিউল ইসলাম।
এর আগে বাংলাদেশের ইনিংসের মেরুদণ্ড ছিলেন তামিম ইকবাল। বেশ কিছুদিন ধরে সমালোচিত হওয়া তামিম ওপেনিংয়ে নেমে আজ ৫৩ বলে ৭ চার ও এক ছয়ে করেন ৬৫ রান। এছাড়া আফিফ হোসেন ধ্রুব ২০ বলে ২১ ও মাহমুদুল্লাহ করেন ১২ বলে ১২ রান। যাতে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ হাসনাইন নিয়েছেন সর্বোচ্চ দুটি উইকেট। আর একটি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও শাদাব খান।
এনএস/