ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

কোয়ার্টারে টাইগারদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ১৭:৫৩, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

ফিফটি হাঁকানোর পথে তামিমের শট

ফিফটি হাঁকানোর পথে তামিমের শট

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ২০২০ আসরের সেমিফাইনাল নিশ্চিতের লক্ষ্যে আজ মুখোমুখি স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ। মহাগুরুত্বপূর্ণ কোয়ার্টার ফাইনালে ঘরের মাঠে টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় প্রোটিয়ারা। ব্যাটিং করে তিন ফিফটিতে স্বাগতিকদের সামনে ২৬২ রানের চ্যালেঞ্জ দাঁড় করায় টাইগাররা। 

এদিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তানজিদ হাসান তামিমের অনবদ্য ফিফটিতে বড় স্কোরের ভীত পায় যুবারা। উদ্বোধনী জুটিতে পারভেজ হোসাইন ইমনের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন তামিম। ত্রয়োদশ ওভারের প্রথম বলেই ভাঙে এই জুটি। এসময় মোলেটসানের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ইমন। তার আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে মাত্র ১৭ রান।

এরপর ক্রিজে এসে থিতু হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়তে হয় তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয়কে। ১৫ বল মোকাবেলা করে রান আউট হওয়ার আগে মাত্র ৩ রান ক্রেন এই ব্যাটসম্যান। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা ধাক্কা খেলেও তাতে থেমে থাকেননি সিনিয়র তামিমের মতই বাঁহাতি ব্যাট করা যুবা ওপেনার তামিম জুনিয়র। 

চারে নামা তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৫৭ রানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি। যে জুটি গড়ার পথে নিজের ফিফটিও তুলে নিয়ে শতকের লক্ষ্যেই ছুটছিলেন তামিম। তবে ২৮তম ওভারে গিয়ে এই জুটি যখন ভাঙে তখন সেঞ্চুরি থেকে ২০ রান দূরে তামিম। ৮৪ বল থেকে ১২টি চারের সাহায্যে অনবদ্য ওই রান করেন তিনি। 

এরপর হৃদয় ও শাহাদাত মিলে শক্ত ভীতকে আরও মজবুত করে দলকে নিয়ে যান বড় স্কোরের লক্ষ্যে। পঞ্চম উইকেটে ১০২ রানের বড় জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন এ দুজন। এরইমধ্যে ফিফটিও তুলে নেন দুজনেই। দলীয় ২৩২ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন হৃদয়। তার আগে তার নামের পাশে যোগ হয় ৫১ রানের এক সংগ্রামী ইনিংস। 

তার ৭৩ বলের ইনিংসে ছিল মাত্র দুটি চারের মার। তবে বেশি বেশি সিঙ্গেল নিয়েই স্ট্রাইক রোটেড করে খেলেন হৃদয়। যাতে সুযোগমতো মেরে খেলেন শাহাদাত। প্রথমে থিতু হতে সময় নিলেও পরের দিকে গিয়ে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলেন এই ডানহাতি তরুণ। তার অনবদ্য ৭৪ রানের ইনিংসে ভর করেই দলীয় স্কোর দুইশ ষাট পার করে বাংলাদেশ। 

নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন শাহাদাত হোসাইন। সঙ্গে ১১ বলে ১৬ রান করে অজেয় ছিলেন অধিনায়ক আকবর আলী। প্রোটিয়া যুবাদের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট লাভ করেন ফেকো মোলেটসান। 

এদিকে, দু’দলের মধ্যকার শেষ পাঁচবারের দেখায় বাংলাদেশ জিতেছে তিনবার। আর দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেয়েছে দু’বার।

বাংলাদেশ একাদশ: 
তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, আকবর আলি (অধিনায়ক), শাহাদাত হোসেন, রাকিবুল হাসান, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মুরাদ।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি