ট্রিপল সেঞ্চুরিতে তামিমের ইতিহাস
প্রকাশিত : ১৬:২৭, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৬:৫৮, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ট্রিপল সেঞ্চুরির পথে তামিমের শট
সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে সাদা পোশাকে খেলেছেন গত বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর গেছে জিম্বাবুয়ে ও ভারতের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ, কিন্তু সেগুলোতে দেখা যায়নি জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবালকে। ঘরোয়া লিগেও সর্বশেষ খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে।
দীর্ঘ বিরতির পর সাদা পোশাকে খেলতে নেমে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি (৩৩৪) করেছেন জাতীয় দলের এ ওপেনার। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল শনিবার ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে ছন্দোময় ব্যাটিং করে তুলে নিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন ২২২ রানে।
দ্বিতীয় দিনে এমন ইতিহাস যে গড়ে ফেলবেন তা হয়তো অনেকটা অজানাই ছিল তামিমের। তবে সে অসাধ্যকে এবার সাধন করেছেন তামিম। তার প্রতি যে প্রত্যাশা ছিল তা আজ পূরণ করেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এ ব্যাটসম্যান।
এর আগে গতকাল ২৮১ বলে ২২২ রান নিয়ে দিন শেষ করেন তিনি। আজ তৃতীয় দিনে তাড়াহুড়ো না করে খেলেছেন বলের মেধা যাচাই করে। লাঞ্চের পর ৪০৭ বল খেলে ট্রিপল সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। ব্যক্তিগত ২৯৮ রানে থাকতে শুভাগত হোমকে মেডেন দেন তামিম।
এরপর মুস্তাফিজুর রহমানের ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে পৌঁছে যান ২৯৯ রানে। শুভাগতর করা ১৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ১ রান নিয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন এ ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ৪২৬ বল খেলে ৩৩৪ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে ইনিংস ঘোষণা করে তার দল।
এতে করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড এখন তার। এর অগে ২০০৬-০৭ সালে রকিবুল হাসান ৩১৩ রান করে অপারাজিত ছিলেন।
এদিকে তামিমের ট্রিপল সেঞ্চুরিতে ভর করে রানের পাহাড় গড়েছে পূর্বাঞ্চল। ১৩৯ দশমিক ৫ ওভার খেলে ৫৫৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে তামিমের দল। এতে ৩৪২ রানের বড় লিড পায় তারা।
দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল হকের (১১১) সঙ্গে ২৯৬ রানের বিশাল জুটি গড়ার পর, তৃতীয় উইকেটে ইয়াসির আলি রাব্বির সঙ্গে এরই মধ্যে ১৫৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন তামিম। চট্টগ্রামের ছেলে ইয়াসির ১৭২ বল খেলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন।
এআই/আরকে