চোট কাটিয়ে ফিরছেন মুশফিক-কায়েস
প্রকাশিত : ১৬:৪৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৬:৪৬, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিম
সদ্যই শেষ হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) প্রথম পর্ব। হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে এ পর্বে খেলতে পারেননি মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েস। তবে টুর্ণামেন্টের দ্বিতীয় পর্ব থেকে খেলবেন দুজনেই। অন্যদিকে, তৃতীয় পর্ব থেকে মাঠে দেখা যেতে পারে সাইফউদ্দিনকে।
জানা যায়, এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলেই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন মুশফিক। তবে সে চোট এখন সেরে গেছে। সুস্থ মুশফিক তৈরি ম্যাচে ফেরার জন্য। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় পর্বে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের হয়ে খেলবেন মুশফিক।
মুশফিকের মতো ইমরুল কায়েসও বিপিএলে ভুগছিলেন হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যায়। যে কারণে পাকিস্তান সফরের দলেও রাখা হয়নি তাকে। তবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন কায়েসও। ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের হয়ে বিসিএলের দ্বিতীয় পর্ব দিয়ে ক্রিকেটে ফিরবেন এই ওপেনার।
আজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘হ্যামস্ট্রিং আর পায়ের পেশির সমস্যা ছিল মুশফিক ও ইমরুলের। এর মধ্যে ওদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়াও চলছিল। মুশফিকের চোট গ্রেড-ওয়ান হওয়াতে আমরা ধরে নিয়েছিলাম তার সুস্থ হতে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত লাগবে। ইমরুলের চোটেও আরও সময় লাগতে পারত। কিন্তু আজ দুজনেরই পরীক্ষা নেয়া হলো। তাতে রিপোর্ট খুবই সন্তোষজনক। দুজনই এখন খেলার জন্য ফিট আছে।’
এদিকে, পিঠের চোট থেকে বেশ সুস্থ হয়েছেন লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে থাকা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে পুরো রানআপে বোলিং করেছেন সাইফ। তবে তাকে আরও এক সপ্তাহ দেখতে চায় বিসিবি। ফলে আগামী ১৪ তারিখ থেকে শুরু হওয়া বিসিএলের তৃতীয় পর্ব থেকে মাঠে দেখা যেতে পারে সাইফউদ্দিনকে।
আজ এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার বলছিলেন, ‘লম্বা সময় পর ফুল রানআপে বোলিং করেছি। চিন্তিত ছিলাম লাইন-লেংথ নিয়ে। আজ দেখালাম ভালোই আছে। আরও এক সপ্তাহর মতো সময় আছে। জাতীয় দলের ফিজিও আমাকে বিসিএলের তৃতীয় পর্ব থেকে খেলতে বলেছে। এই এক সপ্তাহে ফিটনেসে আরও উন্নতি করতে পারব।’
এদিকে, মুশফিক-কায়েসের মতো সাইফউদ্দিনেরও চোখ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে। সবকিছু ঠিক থাকলে প্রায় পাঁচ মাস পর জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই ফের জাতীয় দলে ফিরতে চান ফেনীর এই তারকা।
এ বিষয়ে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘আশা আছে। চিকিৎসক দল ছাড়পত্র দিয়েছে। এখন বাকিটা নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর নির্ভর করছে।’
এনএস/