ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

দু’শো ছাড়িয়েই অলআউট বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৮:৫৬, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মোহাম্মদ মিঠুন

মোহাম্মদ মিঠুন

১৭২ রানেই ছয় উইকেট পড়ে যাওয়ায় সমর্থকদের কাছে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছিল- রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস দুই শ পেরুবে তো? কিন্তু মিঠুন-তাইজুলের জুটিতে অবশ্য দু’শো পেরোলেও দ্রুতই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। 

ইনিংসে একমাত্র ফিফটি হাঁকানো মোহাম্মদ মিথুন শেষ পর্যন্ত আউট হন ৬৩ রান করে। ১৩৭ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি স্পর্শ করেন মিঠুন। এরপর মাত্র তিনটি বল খেলে একটি ছয় ও এক চারে ১০ রান যোগ করে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন মিঠুন। যার দলে শেষ পর্যন্ত ২৩৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।  

পাকিস্তানের হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি চারটি উইকেট দখল করেন। এছাড়া মোহাম্মদ আব্বাস ও হারিস সোহেল দুটি করে এবং নাসিম শাহ একটি উইকেট তুলে নেন।

এর আগে দলীয় স্কোর দুইশো পার করেই আউট হয়ে ফেরেন চার বাউন্ডারিতে ২৪ রান করে মিঠুনকে সঙ্গ দিতে থাকা তাইজুল ইসলাম। ফেরার আগে সপ্তম উইকেটে গড়েন মূল্যবান ৫৩ রানের জুটি।

এদিন চা বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে লিটন কুমার দাসকে হারায় বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর পর নামজুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল্লাহ ফিরলে তারপর ভালোই এগুচ্ছিলেন লিটন দাস ও মোহাম্মদ মিঠুন। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। 

কিন্তু পার্ট টাইম বোলার হারিস সোহেলের দারুণ এক ডেলিভারি ভেঙে দেয় এই জুটি। ৪৬ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন লিটন। এ সময় দলের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন।

এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শাহিন আফ্রিদির শিকার হয়ে ফেরেন অভিষিক্ত সাইফ হাসান। সেই রেশ না কাটতেই মোহাম্মদ আব্বাসের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। ফলে চাপে পড়ে যায় মোমিনুল হকের দল।

পরে অধিনায়ক মোমিনুল হককে নিয়ে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ধীরে ধীরে মেলবন্ধন গড়ে তোলেন দুজন। ইনিংস মজবুত করতে শুরু করেন তারা। কিন্তু হঠাৎ পথচ্যুত হন মোমিনুল। শাহিন আফ্রিদির বলে অযাচিত শট খেলতে গিয়ে আউট হন অধিনায়ক। ফেরার আগে ৫ চারে ৩০ রান করেন প্রিন্স অব কক্সবাজার। তাতে শান্তর সঙ্গে ভাঙে ৫৯ রানের জুটি।

টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানের বিদায়ে চাপেই থাকে বাংলাদেশ। এ পরিস্থিতিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শান্ত। ভালো সঙ্গও পান তিনি। তবে একপর্যায়ে হার মানেন এ টপঅর্ডারও। উইকেটের পেছনে তাকে ক্যাচ বানান মোহাম্মদ আব্বাস। ফেরার আগে ৬ চারে ৪৪ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন শান্ত। 

৯৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরেই সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই শাহিন আফ্রিদির শিকার হয়ে ফেরেন রিয়াদ। ফেরার আগে ৪ চারে ২৫ রান করেন সাইলেন্ট কিলার।

এদিকে, এ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছে সাইফের। একাদশে রয়েছেন এক স্পিনার ও তিন পেসার। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন রুবেল হোসেন। 

অন্যদিকে, এ নিয়ে ১৭ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০০৩ সালে দেশটি সফরে টেস্ট খেলেন টাইগাররা। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৯টিতেই পরাজিত হতে হয়েছে। বাকি ম্যাচটি ড্র।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি