টাইগার থাবায় ক্ষতবিক্ষত ভারত
প্রকাশিত : ১৭:১৬, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৭:২২, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
টপ স্কোরার জয়সওয়ালকে ফিরিয়ে শরিফুলের উদযাপন
টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। ফলে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বিপক্ষের সামনে বড় রানের লক্ষ্য দেয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল ভারতের সামনে। কিন্তু, শুরু থেকেই টাইগার পেসারদের দাপটের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে ভারতীয়রা। টাইগারদের একের পর এক থাবায় ক্ষতবিক্ষত ভারত।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ১৭১ রান।
প্রথম দুই ওভার মেডেন নিয়েছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। প্রথম ছয় ওভারে উঠেছিল মাত্র ৮ রান। সেই চাপে সপ্তম ওভারেই পড়ল প্রথম উইকেট। দিব্যাংশ সাক্সেনা ফিরলেন মাত্র ২ রানে। অভিষেক দাসের বলে ক্যাচ দিলেন তিনি।
তবে জয়সওয়াল ও তিলকের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। এ জুটি যখন বিপদজ্জনক হয়ে ওঠার পথে ঠিক তখনই আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। জুনিয়র এ সাকিব ভেঙে দেন তাদের ৯৪ রানের জুটি। ভার্মাকে (৩৮) শরিফুলের ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান এ পেসার। ফলে ১০৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত।
এরপরই ভারত শিবিরে তৃতীয় আঘাত হানেন স্পিনার রাকিবুল হাসান। ফেরান সদ্য ক্রিজে আসা ভারত অধিনায়ক প্রিয়াম গার্গকে। স্পিন বুঝতে না পেরে কাভারে সাকিবের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন গার্গ (৭)। যাতে ১১৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ভারত।
৩৯তম ওভারে এসে টাইমলাইনে আসেন শরিফুল। জোড়া আঘাতে পরপর ক্রিজ ছাড়া করেন ফিফটি হাঁকিয়ে আরেকটি সেঞ্চুরির দিকে হাঁটতে থাকা জয়সওয়ালকে। ১২ রানের জন্য টানা সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত করেন শরিফুল। ১২১ বল মোকাবেলা করে আটটি চার ও একটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করা এই ওপেনার।
এরপরের বলেই সিদ্ধেশ বীরকে কাপুরুষ বানিয়ে ফেরত পাঠান তরুণ এ পেসার। আর ৪৩তম ওভারে এসে রান আউট হয়ে ফেরেন ধ্রুব জুরেল (২২)। যাতে ১৬৮ রানেই ষষ্ট উইকেট হারায় ভারত।
ভারতীয় দলে এদিন কোনও পরিবর্তন হয়নি। সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর দলই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ দলে অবশ্য একটি পরিবর্তন হয়েছে। হাসান মুরাদের পরিবর্তে দলে এসেছেন অভিষেক দাস। বাতাসে থাকা আর্দ্রতাকে কাজে লাগানোর জন্যই প্রথমে বোলিংয়ের উদ্দেশ্য বলে জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলি।
ভারতীয় দল এর আগে চার বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যুব বিশ্বকাপে। এদিন সুযোগ পঞ্চমবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। এই রেকর্ড আর কোনও দলের নেই। বাংলাদেশ আবার প্রথমবার উঠেছে ফাইনালে। তাই আকবর আলিদের সামনে সুযোগ ইতিহাস গড়ার।
এনএস/