ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

প্রোটিয়াদের উড়িয়ে ইংলিশদের সিরিজ জয়

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ২২:২৬, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ইংলিশ অধিনায়কের শট চেয়ে দেখছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক

ইংলিশ অধিনায়কের শট চেয়ে দেখছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক

Ekushey Television Ltd.

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের বিপক্ষে রীতিমত রানের পাহাড় গড়ে প্রোটিয়ারা। তবে ইয়ন মরগ্যানের তাণ্ডুবে ফিফটিতে সেই রান পাহাড় তো টপকালোই, উপরন্তু স্বাগতিকদের উড়িয়ে দিয়ে সিরিজও বগলদাবা করল ইংলিশরা।

ক্লাসেনের তাণ্ডব ছড়ানো ফিফটি আর বাভুমা ও মিলারের ঝড়ে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ২২২ রানের পাহাড় গড়ে প্রোটিয়ারা। জবাবে বাটলার, বেয়ারস্টো ও মরগ্যানের মাঠ কাঁপানো তিন ফিফটিতে ৫ বল হাতে রেখেই পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। সঙ্গে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নেয় সফরকারীরা।

জয়ী দলের পক্ষে জনি বেয়ারস্টো সর্বোচ্চ ৬৪ (৩৪ বলে) করলেও মূল নায়ক সেই মরগ্যানই। ২৫৯ স্ট্রাইকরেটে মাত্র ২২ বলেই পঞ্চাশোর্ধ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন দলীয় অধিনায়ক। তার ৫৭ রানের ইনিংসে কোনও চার না থাকলেও ছিল সাত সাতটি ছক্কার মার। এছাড়া জস বাটলারের ব্যাট থেকেও আসে সমান ৫৭ রান, ২৯ বলে। 

প্রোটিয়াদের পক্ষে প্রথম ম্যাচের নায়ক লুঙ্গী এনগিদিই যা একটু ভোগান ইংলিশদের। ২টি উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা চাপে ফেললেও শেষমেশ এই পেসার দিয়েছেন ৫৫ রান।   

এর আগে ক্লাসেনের ক্লাসিক ফিফটিতে ২২২ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-১ সমতা আনা ইংল্যান্ডের জন্য সংগ্রহটা চ্যালেঞ্জই ছিল বটে। 

আজ রোববার সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্কে টস জয়ের পর বোর্ডে রান তোলার বিষয়ে অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক যা বলেছিলেন, বিপক্ষদের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য সেটাই করে দেখিয়েছে তার সতীর্থরা। 

অবশ্য শুরুটা করেন বাভুমা ও ডি কক নিজেই। প্রথম ৮ ওভারেই ৮৪ রান তুলে ফেলেন এই জুটি। তবে এই দুই ওপেনারকে চার বলের ব্যবধানে ফিরিয়ে পুন:রায় লড়াইয়ে ফিরেছিল ইংলিশরা। এ সময় ডি কক ২৪ বলে ৩৫ এবং টেম্বা বাভুমা সমান বল খেলে ১ রানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হয়ে ফেরেন।

তবে এরপরও খেই হারিয়ে ফেলেনি স্বাগতিকরা। হাল ধরেন হেনরিক ক্লাসেন। মারকুটে এই ব্যাটসম্যানের অন্তর্ভুক্তি তার দলকে পুনরজ্জীবিত করেছে যেন। ইংলিশ বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে দেশীয় দর্শকদের সামনে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে দারুণ বিনোদিত করেন এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। নিজেকে আরেকবার প্রমাণিত করেন স্ট্রোকমাস্টার হিসাবে। 

ডুসেন (১১) দ্রুত ফিরলেও ডেভিড মিলারকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়ে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন ক্লাসেন। ফেরার আগে খেলেন ঠিক ২০০ স্ট্রাইকরেটে ৩৩ বলে ৬৬ রান, মারেন সমান চারটি করে চার-ছক্কা। 

শেষ দিকে মিলারের ২০ বলে ৩৫ রানের অপরাজিত ক্যামিও ইনিংসে চড়ে ৬ উইকেটে ২২২ রানে পৌঁছে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ইংলিশ বোলারদের মধ্যে এদিন সফল ছিলেন স্টোকস ও কারেন। দুজনেই ২টি করে উইকেট তুলে নেন। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি