ঢাকা, শুক্রবার   ১১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

প্রস্তুত জাহানারা-রুমানারা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪৩, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৬:৪৯, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জাহানারা আলম ও রুমানা আহমেদ

জাহানারা আলম ও রুমানা আহমেদ

Ekushey Television Ltd.

ম্যাচ খেলার ঘাটতি থাকলেও সহায়ক কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জাহানারা আলম।

চতুর্থবারের মত বৈশ্বিক এ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া এই নারী পেসার বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে দল ভাল কিছু স্মৃতি নিয়ে ফিরতে পারবে বলে তিনি মনে করেন। 

এদিকে, ছয়জন স্পিনারকে নিয়ে এবারের বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের শক্তিশালী একটি স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। সালমা খাতুনের নেতৃত্বে গড়া দলে রয়েছেন ইতোপূর্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে তারকাদ্যুতি ছড়ানো বাঁহাতি নাহিদা আখতার।

তবে আউট সুইং বল করতেই বেশ পারদর্শী জাহানারা। অস্ট্রেলিয়ায় ১০ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার পর সেখানে আরও ভাল করার অস্ত্র খুঁজে পেয়েছেন বলে মনে করছেন তিনি। 

জাহানারার উদ্বৃতি দিয়ে আইসিসি জানায়, ‘আমি অস্ট্রেলিয়ায় খেলার ব্যাপারে কিছুটা রোমঞ্চিত, কারণ শুনেছি এখানকার পিচ বাউন্সি এবং উইকেট থেকে সহায়তা পাওয়া যায়। এখানে আমি দুই দিকেই বল সুইং করাতে পারছি। কিছুটা ভিন্নতা পাচ্ছি। তাই আমি বেশী রান দিতে চাই না। আর দলের হয়ে সেটাই হবে আমার মূল ভূমিকা।’

জাহানারা আরও বলেন, ‘আমাদের মূল শক্তি হচ্ছে দলীয় একতা। দীর্ঘ সময় যাবত প্রস্তুতি নিয়েছি এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী। এটি আমাদের চতুর্থ বিশ্বকাপ। এখন আমরা কিছুটা অভিজ্ঞ। যদিও প্রথমবারের মতো আমরা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি।’

জাহানারার টি-টোয়েন্টি রেকর্ডও চমৎকার। এই ফর্মেটে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫ উইকেট শিকারী এখন তিনিই। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির আসনে রয়েছেন যথারীতি অধিনায়ক সালমা খাতুন।

বাংলাদেশ দলের হয়ে এখনও পর্যন্ত অর্জিত সেরা সফলতারও অংশ ছিলেন জাহানারা। ২০১৮ সালে ঐতিহাসিক ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের সময় উইনিং রানটি এসেছিল তার ব্যাট থেকেই।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে ১৩ ম্যাচে অংশ নিয়ে দুটি মাত্র জয় পেয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। তবে গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বছাইপর্বে ৫ ম্যাচের সবকটিতে জয়ের মাধ্যমে নিজেদের উন্নতির প্রমাণ দিয়েছেন সালমা-জাহানারারা।

এবার বাংলাদেশ বেশী নির্ভর করছে অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদের উপর। যিনি ২০১৭ সালে আইসিসির উঠতি তারকার মর্যাদা পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া মহিলা ক্রিকেট লীগ বিগ ব্যাসেও  খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। যা তিনি সতীর্থদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

রুমানা বলেন, ‘সেটা ছিল আমার জন্য দারুণ সুযোগ। প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরে আমি দারুণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমি শিখেছি কিভাবে বড় দল ও খেলোয়াড়রা খেলার প্রস্তুতি নেয়। প্রতিটি অনুশীলন সেশনে আমি অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছি। বিশেষ করে জিম ও ফিটনেস সেশনে। যা ছিল দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’

নিগার সুলতানা

এছাড়া ব্যাটে আছেন দারুণ ধারাবাহিক নিগার সুলতানা। গত দুই বছর ধরেই দুর্দান্ত ধারাবাহিক তিনি। যেখানে একটি শতকসহ ৪৪.১৪ গড়ে ৩০৯ রান করেছেন নিগার।

এখন, যদি তারা অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক খেলা উপহার দিতে পারে এবং কমপক্ষে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফেলতে পারে তবেই টাইগ্রেসদের এবারের বিশ্বকাপ মিশন সফল হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বড় দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার অভাবের পরিপ্রেক্ষিতে এটাই সর্বাধিক বাস্তব লক্ষ্য হিসাবে প্রতীয়মান।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি