আশা জাগিয়েও হতাশ বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ২০:৪৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ২০:৫৪, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সানজিদাকে ফেরানোর পর পুনম যাদবের উল্লাস
টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপের শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। ভারতের দেয়া ১৪২ রানের লক্ষ্য টপকাতে পারেনি টাইগ্রেসরা। অস্ট্রেলিয়াকে হারানো ভারতের কাছে আজ বাংলাদেশ হেরেছে ১৮ রানের ব্যবধানে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পার্থের ওয়াকা স্টেডিয়ামে ভারতের দেয়া ১৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মেয়েদের। দলীয় ৫ রানেই শামীমা সুলতানাকে হারায় বাঘিনীরা। দ্বিতীয় উইকেটে সানজিদা ইসলামকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুর্শিদা খাতুন। কিন্তু তিনি আউট হয়ে যান ২৬ বলে ৩০ রান করে।
এরপর সানজিদা ফেরেন ১৭ বলে ১০ রান করে। তারপর দলের হাল ধরেছিলেন উইকেটরক্ষক নিগার সুলতানা। সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখতে দেখতে তিনিও এক পর্যায়ে বিদায় নেন দলকে বিপদের মুখে রেখেই। আউট হওয়ার আগে নিগার করেন ২৬ বলে পাঁচ চারে ৩৫ রান।
পরে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করতে পারে ১২৪ রান। ফলে ১৮ রানের হার মানতে হয়েছে সালমাদের। ভারতের পক্ষে ৩টি উইকেট শিকার করেন পুনম যাদব। ২টি করে উইকেট নেন শিখা পাণ্ডে ও অরূন্ধতি রেড্ডি।
এর আগে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সালমা খাতুন। শুরুতেই দলকে সাফল্যও এনে দেন অধিনায়ক। ভারতের উইকেটরক্ষক ও উদ্বোধনী ব্যাটার তানিয়া ভাটিয়াকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন সালমা। দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
আরেক ওপেনার শেফালি ভার্মা রান তুলতে থাকেন দ্রুত গতিতেই। তার ১৭ বলে ৩৯ রানের ক্যামিও থামান পান্না ঘোষ। শেফালির ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি চার ও ৪টি ছয়ে। দলীয় ৫৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত। এরপর ৮ বলে ১১ রান করে পান্নার দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক হারমান প্রীত কোর।
তবে এক প্রান্ত আগলে থাকা জেমিমা রদ্রিগেজকে রান আউট করেন নাহিদা আক্তার। মাঠ ছাড়ার আগে তিনি করেন ৩৭ বলে ৩৪ রান। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও একটি ছয়। ৯২ রানে ভারতের চতুর্থ উইকেট পড়ে। জোড়া আঘাতে দলীয় ১১১ ও ১১৩ রানে বিদায় নেন যথাক্রমে রিচা ঘোষ (১৪) ও দ্বীপ্তি শর্মা (১১)।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৪২ রান। ক্রিজে অপরাজিত থাকেন বেদা কৃষ্ণমূর্তি (২০) ও শিখা পাণ্ডে (৭)। বাংলাদেশের সালমা ও পান্না উভয়েই ২৫ রানের বিনিময়ে শিকার করেন ২টি করে উইকেট। তবে শেফালি ভার্মাই পান ম্যাচ সেরার পুরষ্কার।
এনএস/