ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

লিটনের শতক, হতাশ করলেন মুশফিক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৮, ১ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১৫:৫১, ১ মার্চ ২০২০

সিলেটে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শতক হাকালেন লিটন দাস। তবে সাতমাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে আবারও হতাশ করেছেন তামিম ইকবাল। 

এদিন টস জিতে ব্যাটিং নেমে রোমাঞ্চকর সূচনা করেন দুই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬০ রান। একপ্রান্তে লিটন দাস চালিয়ে খেললেও ধীর গতিতে ছিলেন তামিম। 

দলীয় ৬০ রানের মাথায় উইসলি মাধেভেরের অফ ব্রেক বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন বামহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। ৪৩ বল খেলে মাত্র ২৪ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। 

তবে শুরু থেকে বিপরীত অন্যপ্রান্ত। স্বপাটে চালিয়ে যান লিটন দাস। দীর্ঘ বিরতির পর খেলতে নেমে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৯৬ বল মোকাবেলা করে ১০ চার ও এক ছয়ে ঝলকানো ইনিংস উপহার দেন তিনি। 

এর আগে তামিমের বিদায়ের পর নাজমুল হাসান শান্তর সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়েন লিটন। কিন্তু দলীয় ১৪০ রানের মাথায় আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে মুতম্বোদজির বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন শান্ত। আউট হন ২৯ রানে। 

তার বিদায়ের পর লিটনের সঙ্গে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দেন মুশফিকুর রহিম। তবে বেশিদূর যেতে পারলেন সফরকারীদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়া মুশফিকুর রহিম। ত্রিপানোর বলে মুতম্বোদজির হাতে ব্যক্তিগত ১৯ রানে তালুবন্দি হন মি. ডিপেন্ডাবল। 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৬ ওভারে ৩ উইকেটে ২০০ রান। ক্রিজে লিটন দাস ১২৬ আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।  

দীর্ঘ সাত মাস পর আজ মাঠে নেমেছে টাইগাররা। গুরুত্বপূর্ণ এ সিরিজ দিয়েই ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন লাল সবুজদের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। 

বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সবশেষ ওয়ানডে খেলেছে শ্রীলংকার মাটিতে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ক্রিকেটার না থাকায় হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা নিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছিল তামিমদের। ওই ম্যাচে ইনজুরির কারণে ছিলেন না অধিনায়ক মাশরাফি ও সাইফুদ্দিন। আর সাকিব আল হাসান বিরত ছিলেন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে। 

গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে দলে আনা হয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। গত বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে টাইগার একাদশে থাকা এনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান ও রুবেল হোসেনকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলে রাখা হয়নি। তাদের জায়গায় দলে ডাক পেয়েছেন মাশরাফি, সাইফউদ্দিন ও লিটন দাস।

বোলিং আক্রমণে বাংলাদেশ সাইফুদ্দিনকে মূল বোলার করে রাখা হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানকে। স্পিনে রাখা হয়েছে তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজকে। 

কাপ্তান মাশরাফির বিদায়ের সিরিজকে রঙিন করে রাখতে সব ম্যাচে জয় চায় টাইগাররা। এক্ষেত্রে ম্যাচ বাই ম্যাচ আগাতে চান মাশরাফি। 

একইসঙ্গে নজরে থাকবেন একমাত্র টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়া মি. ডিপেন্ডাবল খ্যাত মুশফিকুর রহিমও। টেস্টের ন্যায় ওয়ানডেতেও তিনি নিজের নৈপুণ্য ধরে রাখবেন বলে আশা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে ক্রিকেটপ্রেমিদের। 

এখন পর্যন্ত টাইগাররা সফরকারীদের এ ফরম্যাচে ৭২ বার মোকাবেলা করেছেন। যেখানে জয় পেয়েছেন ৪৪টিতে। জিম্বাবুয়ে জিতেছে ২৮টিতে। 

সবশেষ উভয়ের দেখা হয়েছিল ২০১৭ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। তিন ম্যাচের ওই সিরিজের শেষ ম্যাচে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছিল মাশরাফিরা। তাই এ ম্যাচেও জয় পেতে মরিয়া লাল সবুজরা।

বাংলাদেশ একাদশ : 

তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হাসান শান্ত, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।

এআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি