মুশফিক-তাইবুরের সেঞ্চুরি, হতাশ জুনায়েদ
প্রকাশিত : ২৩:০৮, ১৫ মার্চ ২০২০
জয়ের পর ৪ উইকেট নেয়ার রানাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ম্যাচ সেরা অধিনায়ক
বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) বিশেষ আসর শুরুর দিনে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিজ নিজ দলকে জয় পাইয়ে দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও তাইবুর রহমান। অন্যদিকে, মাত্র তিন রানের আক্ষেপের সঙ্গে দল হারায় স্বভাবতই হতাশ জুনায়েদ সিদ্দিক।
রোববার (১৫ মার্চ) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই অভিষেকটা রাঙিয়ে নিলেন টাইগার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। দলটির হয়ে প্রথমবার মাঠে নেমেই রেকর্ড গড়েন আবাহনীর এই নয়া ক্যাপ্টেন। তার সেঞ্চুরিতে শুরুর বিপর্যয় সত্ত্বেও পারটেক্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান তোলে আবাহনী।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতাই খুলতে পারেননি সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ে সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করা লিটন দাস ও তরুণ মোহাম্মদ নাঈম। তবে মুশফিকের সেঞ্চুরির সঙ্গে মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকতের ৬১ আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলা ৩৯ রানের ক্যামিও ইনিংসে চড়ে ওই সংগ্রহ গড়ে আবাহনী।
এই ত্রয়ীর এমন ব্যাটিংয়ের পরও পারটেক্সের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন মাত্র দ্বিতীয় লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলতে নামা জয়নুল হোসেন। ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি।
জবাব দিতে নেমে ব্যাটিংয়ে নেমে বোর্ডে ২০৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি পারটেক্স। নাজমুল হোসাইন মিলন সর্বোচ্চ ৫৩ আর তাসামুল হক করেন ৪৩ রান। এদিন সুযোগ পেয়ে আবারও নিজের জাত চেনালেন বিপিএলে আগুন ঝরানো মেহেদী হাসান রানা। বাঁহাতি এ পেসার ৫৫ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ৪টি উইকেট। ফলে ৮১ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুশফিক বাহিনী।
এদিকে, ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স-প্রাইম দোলেশ্বর ম্যাচটি বেশ জমে উঠেছিল। প্রথমে ব্যাটিং করে তাইবুর রহমানের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ২৩৮ রান সংগ্রহ করে প্রাইম দোলেশ্বর। ৯৪ বলে ৭টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কার মারে সর্বোচ্চ ১১০ রানের ইনিংস খেলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
জবাব দিতে নেমে জুনায়েদ সিদ্দিক ও তুষার ইমরানের ব্যাটে সঠিক পথেই ছিল ব্রাদার্স। তুষার ইমরান ৬৩ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান করে ফিরলেও ১২৫ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৯৭ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন জুনায়েদ।
খেলার শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে শেষ ৩ বলে ৯ রান দরকার ছিল ব্রাদার্সের। সেঞ্চুরি পেতে জুনায়েদের দরকার ৩ রান। ঠিক এমন সময়েই রেজাউর রহমানের বলে এলবিডব্লু হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আসলে, মজার ব্যাপার হচ্ছে, শেষ ওভারে কোনও রানই করতে পারেনি ব্রাদার্স। যাতে শেষ পর্যন্ত ৮ রানেই হারে দলটি।
অন্যদিকে, বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে দিনের আরেক ম্যাচে ওল্ড ডিওএইচএস ২৫ রানে হারিয়েছে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জকে। প্রথমে ব্যাটিং করে ডিওএইচএস স্কোরবোর্ডে তোলে ২৩০ রান। জবাবে রূপগঞ্জ গুটিয়ে যায় ২০৫ রানে।
ডিওএইচএসের পক্ষে আনিসুর রহমান করেন সর্বোচ্চ ৫৯ রান। এছাড়া রাকিন আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। রূপগঞ্জের পক্ষে মোহাম্মদ শহীদ ও আল-আমিন হোসেন নেন ২টি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের শেষ বলে ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় রূপগঞ্জ। দলের পক্ষে পিনাক ঘোষ করেন সর্বোচ্চ ৫৩ রান। এছাড়া সানজামুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান।
ডিওএইচএসের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন আবদুর রশিদ ও বিশ্বজয়ী অভিষেক দাস। এছাড়া আল ইসলাম ও রকিবুল হাসান নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
এনএস/