করোনা সঙ্কটে মুশফিকের আবেগঘন ভিডিও বার্তা
প্রকাশিত : ২৩:০৪, ১৮ মার্চ ২০২০
মুশফিকুর রহিম
মহামারী আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের কাছে অসহায় গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। ইতোমধ্যে ১৪ জন আক্রান্ত নিশ্চিত করতেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন এদের বেশির ভাগই বিদেশ ফেরত। যাদের থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা দেশে।
এ ভাইরাস মোকাবেলায় এখনই সতর্ক না হলে বড় ধরনের হুমকিতে পড়তে পারে প্রিয় স্বদেশ। এরইমধ্যে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সব রকমের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে। এর থেকে নিজেদের ও আশেপাশের সকলের রক্ষা করার জন্য ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের উইকেট রক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
বুধবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় মুশফিক বলেন-
‘আমি মুশফিকুর রহিম বলছি। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দুই লাখেরও বেশি মানুষ। বিভিন্ন দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব খেলাধুলা। অন্যান্য দেশের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশেও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যুও হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক, ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। হাত ঘনঘন সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। দুই, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। অর্থাৎ খুব জরুরি না হলে ভিড় বা জনসমাগম এড়িয়ে চলা।
বিদেশ থেকে আসা প্রবাসী ভাইদের প্রতি একটি অনুরোধ। আপনারা নিজের পরিবার এবং দেশের সবার সুস্থতার জন্য কমপক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকুন। মনে রাখবেন আপনি শুধু আপনার জন্য নয়, আপনার সন্তান, পরিবার, আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী এবং দেশের সকল মানুষের জন্য নিজেকে সচেতন রাখবেন। আর দয়া করে এখন কেউ এক সাথে বাইরে ঘুরতে বের হবেন না।
এই সময় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কোনও তথ্যের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। অনেকেই বিভিন্ন ভাবে ভুল অথবা মিথ্যা তথ্য ছড়াতে পারে। গুজবে কান দেবেন না। আমি নিজের এবং পরিবারের সচেতনতার জন্য এখন বাসায় অবস্থান করছি। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছি না। যতটুকু সম্ভব সচেতন থাকার চেষ্টা করছি। নিজে সুস্থ থাকুন এবং অন্যকে সুস্থ রাখার সহযোগিতা করুণ। মনে রাখবেন, আমার হাতেই আমার সুরক্ষা।’
এনএস/