ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

করোনা নিয়ে যা বললেন শঙ্কিত টাইগাররা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১১, ১৯ মার্চ ২০২০

সৌম্য, রুবেল, মোস্তাফিজ, মিরাজ, বিজয়, তাসকিন

সৌম্য, রুবেল, মোস্তাফিজ, মিরাজ, বিজয়, তাসকিন

মরণঘাতী করোনা ভাইরাসে থমকে গেছে গোটা বিশ্ব। বাদ পড়েনি ক্রীড়াঙ্গনও। মহামারী রূপ নেয়া ভাইরাসটির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এরইমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। এহেন সঙ্কটময় অবস্থায় কী ভাবছেন দেশের তরুণ ক্রিকেটাররা?

করোনা নিয়ে মোস্তাফিজ, সৌম্য, রুবেল, তাসকিন, মোসাদ্দেক, বিজয়, মিরাজরা জানিয়েছেন তাদের ভয়, শঙ্কা ও সচেতনতার কথা। চলুন জেনে নেয়া যাক কি বলছেন টাইগাররা।

নিয়ম মেনে চলা উচিত: মোস্তাফিজ
আমি ঢাকাতে আছি। এমনিতে মাঠে যাচ্ছি, তবে কাজ ছাড়া বাসা থেকে বের হই না। করোনা ভাইরাসের কারণে যারা বের হচ্ছেন, তাদের হয়তো সমস্যা হচ্ছে। আমি মনে করি, প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের না হওয়াটাই ভালো। কম বের হই, তাই আমার হয়তো সেভাবে সমস্যা হচ্ছে না। যারা কম বেশি ঘুরতে যেত করোনা ভাইরাসের কারণে তারাও দেখছি এখন ঘরে। সেভাবে বাসা থেকে বের হচ্ছে না কেউ। আতঙ্কিত বলতে শুধু আমি না, সবাই! একজনের হলে আরও অনেকের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কীভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায় সবার সে চেষ্টা করতে হবে। যে নিয়মগুলো বলা হচ্ছে সেগুলো মেনে চলা উচিত। আমি বলব, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াটা খুব জরুরি। করোনা ভাইরাস নিয়ে বউয়ের সঙ্গে কথা হচ্ছে নিয়মিত। ও অনেক সাহসী। ভার্সিটি বন্ধ। বাসায় আছে। বাইরে যেতে দিচ্ছি না। আজকে (গতকাল) ঘুরতে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু বের হয়নি।  

সবাই যেন সাবধানে থাকে: সৌম্য
এখন পর্যন্ত ঢাকাতে আছি। বাসা থেকে সেভাবে বের হচ্ছি না। ঠিক গৃহবন্দী বলব না, যতটুকু নিরাপদ থাকা যায় সেভাবে দিন পার করছি। আপনারা জানেন যে, করোনা ভাইরাস কিন্তু বিপদজনক জিনিস। যতটুকু পারছি নিরাপদে থাকার চেষ্টা করছি। আমার মতো সবাই যেন সাবধানে থাকে, যে নিয়মগুলো বলা হচ্ছে তা যেন মেনে চলে।

আতঙ্কিত না আমি শঙ্কিত: রুবেল
ভালো আছি, খারাপ আছি- দুটোই বলা যায়। করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের অবস্থা খারাপ, তাই আমিও খারাপ আছি। আমি ঢাকাতে আছি। খুব সচেতনভাবে বাসায় আছি। ব্যক্তিগত কাজ থাকলে বের হই, তাছাড়া বের হই না। আতঙ্কিত না আমি শঙ্কিত। এটা উপরওয়ালার হাতে। সচেতন থাকার যে নিয়মগুলো এসেছে সেগুলো মেনে চলছি। মাস্ক আমি পরি না। অধিকাংশ সময় বাসায় থাকি। বের হলেও বাসার আশেপাশেই থাকি। মা, স্ত্রী ঢাকাতে। বাবা বাগেরহাটে। পরিবারের সবাইকে সচেতন করছি। আমি বলব, সবাইকে সচেতন হতে হবে। সচেতন হওয়া ছাড়া আমাদের হাতে কিছু নেই। যে নিয়মগুলো শুনছি সেগুলো মেনে চলতে হবে।

একটু ভয় তো লাগছেই: তাসকিন
করোনা ভাইরাসের কারণে একটু ভয় তো লাগছেই। যতটুকু নিজেকে নিরাপদ রাখা সম্ভব সেভাবে চলাফেরা করছি। আমি বাসায় থাকছি আবার প্রয়োজনে বেরও হচ্ছি। হ্যান্ড সেনিটাইজার, মাস্ক ব্যবহার করছি। আমি মনে করি- করোনা ভাইরাস অনেক বড় একটা সমস্যা। নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করতে হবে। একজনের থেকে অন্য কারো হতে পারে। হলেও পরিত্রাণ আছে। যাদের হয় তারা যদি সচেতন মতো থাকে তাহলে আর কারো হবে না। বিদেশ থেকে যারা দেশে আসছে বিমানবন্দরে তাদের ঠিকমতো স্ক্যান করাটা জরুরি! যাদের হয় তারা হয়তো শুরুতে বুঝতে পারবে না। আমি বলব, হাত ধোঁয়া থেকে শুরু করে মাস্ক পরাসহ যে নিয়মগুলো বলা হচ্ছে তা মেনে চলতে হবে।

সচেতন থাকা জরুরি: মোসাদ্দেক
এখন ঢাকা আছি। খেলা যদি বন্ধ ঘোষণা করে তাহলে বাসায় চলে যাব। আমি একদম দরকার ছাড়া বাসা থেকে বের হই না। গৃহবন্দী বলব না, কাজ ছাড়া বের হওয়া হয় না আরকি। এখন যেহেতু করোনা ভাইরাসের একটা ব্যাপার চলছে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করছি। আমি আতঙ্কিত না একেবারেই। অনেকে ভুল ইনফরমেশন পাওয়ার কারণে আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয়, আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকা ভালো। যতটুকু পারা যায় নিয়মগুলো মেনে চলা উচিত।

অনুশীলন করছি নিয়মিত: বিজয়
করোনাভাইরাস নিয়ে আমি মোটেও আতঙ্কিত না। ভীতও না। অনুশীলন করছি নিয়মিত। মাঠ ছাড়া সেভাবে বাসার বাইরে যাওয়া হয় না। অন্য সময় যেভাবে চলাফেরা করেছি সেভাবেই এখনো সবকিছু করা হচ্ছে। বাসায় আসার পর আমার স্ত্রী হাত ধুতে বলছে। তার কড়া নির্দেশ। এছাড়া আমি বাইরে গেলে নিয়মিত মাস্কও পরি। সবার উদ্দেশে বলব, যে নিয়মগুলোর কথা বলা হচ্ছে, তা যেন সবাই মেনে চলে। হাত ধোয়া, মাস্ক পরা ইত্যাদি। আর সবাই যেন নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরেন। এটাও খুব জরুরি।

গৃহবন্দী বলতে পারেন: মিরাজ
এতদিন টুকটাক কাজে বাসার বাইরে যাওয়া হয়েছে। মাঠে গেছি। তবে মাস্ক ব্যবহার করেছি। করোনা ভাইরাসের জন্য আজ থেকে বের হব না। গৃহবন্দী বলতে পারেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে আমি আতঙ্কিত না। সত্যি বলতে কি, ওই রকম ভয়ও কাজ করছে না। আমার স্ত্রীর সঙ্গে করোনা নিয়ে কথা হয়। সবাই দোয়া করছি। আল্লাহ যেন সবাইকে হেফাজত করেন। সবাই নিরাপদ থাকুক। হাত ধুতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করুক, যেন আল্লাহ আমাদের সবাইকে এরকম মহামারীর হাত থেকে হেফাজত করেন।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি