এবার করোনায় আক্রান্ত দিবালা
প্রকাশিত : ০৯:৫৬, ২২ মার্চ ২০২০
দানিয়েল রুগানি ও ব্লেইস মাদুইদির পর জুভেন্টাসের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আরও এক সতীর্থ। আক্রান্ত সেই ফুটবলার হলেন লিওনেল মেসির দেশ আর্জেন্টিনার পাওলো দিবালা। আক্রান্ত হয়েছেন দিবালার বান্ধবী ওরিয়ানা সাবাতিনিও।
শনিবার এ খবর দিবালা নিজেই পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে তিনি লেখেন, আমি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।
তবে করোনা আক্রান্ত হলেও ভক্তদের আশ্বস্ত করে তিনি লেখেন, সৌভাগ্যক্রমে আমরা একদম পারফেক্ট অবস্থায় আছি। আপনাদের ম্যাসেজের জন্য ধন্যবাদ।
এদিন ইনস্টাগ্রামে বান্ধবীর সঙ্গে তার ছবি পোস্ট করে দিবালা লেখেন, সবাইকে জানাতে চাই, কিছু আগেই করোনা ভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলো। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওরিয়ানা ও আমি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছি। তবে ভালো অবস্থাতেই রয়েছি।
দিন কয়েক আগেই ইতালীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল, দিবালা করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত। কিন্তু লাতিন আমেরিকায় এই খবর প্রচারিত হওয়ার পরে দিবালা বলে দিয়েছিলেন, তিনি সংক্রমিত হননি। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, যেহেতু করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পরে রোগ লক্ষণ প্রকাশ হতে সময় লাগে, তাই হয়তো ঠিক রিপোর্ট পেতে দেরি হলো।
দিবালার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরটা অবশ্য বিবৃতিতে জানিয়েছে জুভেন্টাসও। জুভেন্টাস টুইট করে জানায়, দিবালার পাশেই রয়েছি আমরা। ১১ মার্চ থেকেই ওকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
তবে শুধু দিবালা বলেই নয়। ইতালি ফুটবল এখন করোনা-আতঙ্কে কাঁপছে। তেমনই এক মুখ আলেসান্দ্রো ফাবালি। তিনি খেলেন সেরি-আ তৃতীয় ডিভিশনের ক্লাব রেজ্জে আউদাচের হয়ে।
গৃহবন্দি ডিফেন্ডার ফাবালি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২ মার্চের কথা বলছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীরে অস্বাভাবিক অস্বস্তি টের পেলাম। দেখলাম গায়ে জ্বর। মাথায় খুব ব্যথা। চোখ জ্বলে যাচ্ছে। তখনই বুঝে যাই, আমার কী হয়েছে।
যোগ করেন, বাড়িতে ফোন করে চমকে গেলাম এটা শুনে যে, পরিবারের সবার প্রায় একই ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে পরিবারের সবাই একসঙ্গে নৈশভোজে করেছিলাম। তখন থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। আমরা যেখানে থাকি, সেখানেও অনেকে সংক্রমিত হয়েছিলেন। জ্বর আসার পরে বুঝলাম আমরাও আক্রান্ত। কিছু করার নেই।
ফাবালি মনে করেন, চিকিৎসা চালানোর সময় বিচ্ছিন্ন থাকাটাই মানসিকভাবে সব চেয়ে কঠিন পরীক্ষা। বিশাল বাড়ির একটা ঘরে ফাবালি নিজেকে স্বেচ্ছাবন্দি করেন। বাড়ির বাকি অংশে একা থাকতেন তার স্ত্রী মিরিয়াম। যিনি প্রত্যেক দিন ফাবালির দরজার সামনে রেখে যেতেন খাবারের প্লেট।
প্রসঙ্গত, প্রাণঘাতী করোনা মহামারীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়া দেশের মধ্যে ইতালি অন্যতম। এরইমধ্যে দেশটিতে ৪ হাজার ৮৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চীনের চেয়েও বেশি। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৫৭৮।
গত বছরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে বিশ্বের ১৮৬ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ২০ জনের। এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখের বেশি মানুষ।
একে//