ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

ওভেন জিও-টিউব দিয়ে কুয়াকাটা সৈকত রক্ষার চেষ্টা (ভিডিও)

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৩৭, ১ জুন ২০২১

বর্ষায় সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে লণ্ডভণ্ড হয় সাগরকন্যা খ্যাত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। বালুক্ষয় আর ভাঙন থেকে এই সৈকতটি রক্ষায় দেশে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে ওভেন জিও-টিউব। তবে স্থানীয়দের দাবি মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ।

১৯৯৮ সালে ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ কুয়াকাটা সৈকতকে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে পরিচিতি ও গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় কুয়াকাটার। তবে দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

এবার বর্ষার আগেই সৈকত রক্ষায় মূল পয়েন্টের দু’পাশে দেড় কিলোমিটার এলাকায় বসানো হচ্ছে সাদা নন ওভেন ও কালো রঙের ওভেন জিও-টিউব।

স্থানীয়রা জানান, সমুদ্র সৈকতটিকে রক্ষার জন্য আমরা কোন স্থায়ী পদক্ষেপ দেখছি না। এটা কিন্তু স্থায়ী সমাধান না, বাঁধ নির্মাণ হোক অথবা মেরিন ড্রাইভ হোক- এই জাতীয় একটা কিছু করা দরকার।

২০১৯ সালে এক কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে একই স্থানে দেশীয় তৈরি জিও-টিউব দেয়া হলেও কোনো কাজে আসেনি। এবার পরীক্ষামূলক ওভেন জিও-টিউব ব্যবহার করা হচ্ছে। 

পটুয়াখালী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী বলেন, এটা যদি এভাবে করা যায় তাহলে আশা করা যায় স্থায়ী কিছু হবে।

কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় টেকসই বাঁধ ও মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের।

হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, বর্ষার ২-৩ মাসের জন্য আপদকালীন ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাতেও রক্ষা হয় না। এটার যদি স্থায়ী ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান হতে থাকবে।

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার বলেন, যত দ্রুত সম্ভব কুয়াকাটা সৈকতটি রক্ষার জন্য একটা মেরিন ড্রাইভ করা উচিত। বড় ধরনের বাজেট করে এই সৈকতটি রক্ষা করা উচিত। 

ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া না হলে পর্যটন শিল্প বিকাশে বড় বিনিয়োগ আসবে না বলেও মনে করেন তারা।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি