ঠাকুরগাঁওয়ে পরিত্যাক্ত বিমানবন্দর এখন বিনোদন কেন্দ্র
প্রকাশিত : ১১:৩৬, ১৩ জুলাই ২০২২
জেলায় ভালো কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় ঈদের দিন থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন পেশা ও বয়সের অসংখ্য নারী-পুরুষ প্রাকৃতিক পরিবেশে একটু বিনোদনের জন্য স্থানীয় পরিত্যক্ত বিমানবন্দরের রান ওয়েতে ভিড় করছে। যদিও সেখানে বিনোদনের তেমন কিছুই নেই। তারপরেও বিকেল হলেই স্থানটি যেন মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্যান্যবারের মতো এবারেও বিমানবন্দরের রানওয়ের তিন কিলোমিটার জুড়ে মানুষের সমাগম। প্রতিবার ঈদে এখানে প্রচুর মানুষ ঘরতে আসেন। অস্থায়ীভাবে রানওয়ের ধারে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের দোকান ও নাগর দোলা মেলার পরিবেশ সৃষ্টি করে। এমন বিশাল খোলামেলা জায়গা ও প্রাকৃতিক পরিবেশে ঈদের সময় পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুড়তে আসছেন অনেকেই।
বিমানবন্দরটি শহর থেকে মাত্র প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ঠাকুরগাঁও-পীরগঞ্জ মহাসড়কের মাদারগঞ্জ শিবগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত। ১৯৪০ সালে এটি নির্মিত হয় ৫৫০ একর জমির ওপর।
বন্দরটির প্রধান রানওয়ে তিন কিলোমিটার। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় এখানে হামলা করলে বিমানবন্দরটির রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর বাণিজ্যিক কাজ পরিচালনা করার জন্য বিমানবন্দরটি ১৯৭৭ সালে সংষ্কার করা হয়। সেসময় এই বন্দরে দীর্ঘদিন বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালিত হলেও পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে অজ্ঞাত কারণে বিমানবন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়। সেই তখন থেকে পরিত্যক্ত ও উন্মুক্ত অবস্থায় পরে আছে এই বিমানবন্দরটি।
ঘুড়তে আসা পারভিন, রহমান, সফিকুল, আরমান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “কোটি কোটি টাকার সম্পদ এই বন্দরের রানওয়েটি এখন ব্যবহার হচ্ছে গোচরণ, ফসল শুকানোর চাতাল ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে।”
এই সময় বিমানবন্দরটি চালু করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, “এই বিমান বন্দরটি চালু করা হলে খুব অল্প খরচে পার্শ্ববর্তী ভারত, নেপাল ও ভূটানে যাতায়াত সম্ভব হবে।”
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান জানান, বিমানবন্দরটি চালু কারার জন্য সরকারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
আরএমএ/ এসএ/
আরও পড়ুন