ঈদে শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের সমাগম কম
প্রকাশিত : ১১:০৫, ১৪ জুলাই ২০২২
টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে গত এক মাস ধরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের সমাগম খুবই কম। তবে ঈদের আগে তেমন বুকিং না পেলেও ঈদের তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে মৌলভীবাজারে বেশ কিছু পর্যটকের দেখা পাওয়া গেছে। যারা এসেছেন তারা মনের আনন্দে নিরিবিলি পরিবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দৃষ্টি নন্দন স্পর্টগুলো।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবাসংস্থার সভাপতি গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্ট এর চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ জানান, ঈদের ছুটি মৌলভীবাজারের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংম্পৃক্তদের মূল ব্যবসা হলেও সিলেটে চলমান বন্যার কারণে এবার তেমন ব্যবসা হয়নি।
তিনি আরও জানান, এই ঈদের ব্যবসার উপর নির্ভর করে বছরের অনান্য সময়ের যোগান নিতে হয় কিন্তু এবার করুণ অবস্থা বিরাজ করছে।
তবে ঈদের আগে শ্রীমঙ্গলের হোটেল রিসোর্ট গুলোতে কোন বুকিং না থাকলেও ঈদের তৃতীয় দিন থেকে বেশ কিছু পর্যটকের আগমন ঘটেছে শ্রীমঙ্গলে। তাদের কেউ কেউ একদিনের জন্য এসে শ্রীমঙ্গল ঘুরে গেছেন, আবার কেউ কেউ থেকেছেন।
শ্রীমঙ্গল গ্র্যান্ড সুলতান হোটেল এন্ড রিসোর্ট এর ব্যবস্থাপক জানান, ব্যবসা নেই বললেই চলে। তবে ঈদের দুইদিন পর থেকে তারা কিছুটা সাড়া পেয়েছেন।
এদিকে দর্শনার্থীর বড় চাপ না থাকায় মৌলভীবাজারের পর্যটন স্পর্ট গুলোর রাস্তাঘাট বলতে গেলে ফাঁকা। আর যারা এসেছেন তারা নিজেদের মতো করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নানা স্পটে। সবুজের সঙ্গে হাবুডুব খাচ্ছেন মনের আনন্দে।
ঢাকা থেকে আগত দর্শনার্থী সৌমিত্র ও সুর্বণা দেব জানান, শ্রীমঙ্গলে দর্শনীয় স্থানগুলো এতো ফাঁকা তারা কখনও দেখেনি।
চট্টগ্রাম থেকে আসা দর্শনার্থী নীনা দাশ ও রাখি চক্রবর্তী জানান, এই সময়ে প্রকৃতিটা বৃষ্টিস্নাত। এর সৌন্দর্য অন্যরকম। তারা মনভরে তা উপভোগ করছেন।
মৌলভীবাজার সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র জানান, স্থানীয় কিছু পর্যটক ছাড়া বাহিরের পর্যটক এখন অনেক কম। ঈদের আগে এবং ঈদের দিনও দর্শনার্থী ছিলো প্রতিদিন একশ দেড়শ।
ঈদের ৩য় দিন থেকে প্রতিদিন হাজার বারোশ পর্যটক হচ্ছে। অনান্য বছর এই সময়ে প্রতিদিন দর্শনার্থী ৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতো।
শ্রীমঙ্গল ওয়ারটার লিলি রির্সোটের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান চৌধুরী জানান, ঈদে ব্যবসার জন্য তড়িঘরি করে বিগত ৪ জুলাই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে ওয়াটার লিলি রিসোর্টের উদ্বোধন করেন। বন্যার কারণে পর্যটক কম, তাই তিনি ৫০ ভাগ ছাড় দিয়েছেন তবুও পর্যটকের তেমন সারা পাননি।
এদিকে পর্যটক না থাকায় শ্রীমঙ্গল ট্যুর গাইডরাও পড়েছেন অর্থ কষ্টে। বিশেষ করে যাদের বিকল্প কোন আয়ের পথ নেই তারা পরিবার পরিজন নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
শ্রীমঙ্গল লাউয়াছড়ার বাসিন্দা ট্যুর গাইড সাজু মাচিয়াং জানান, বিগত ২মাস ধরে কোন পর্যটক নেই। ভেবেছিলেন ঈদে কিছু আয় হবে তাও হয়নি।
আর এই ক্ষতি পোষাতে পাশে দাঁড়াতে হবে সরকারকে না হয় পথে বসতে হবে বলে জানান পর্যটন শিল্পে সংশ্লিষ্টরা।
আরএমএ
আরও পড়ুন