ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

হুমায়ূন আহমেদের নুহাশপল্লী যেন মায়াপুরী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১১, ২০ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২১:০৪, ২৫ জুলাই ২০১৭

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ব্যক্তিজীবনে একজন সফল ও রুচিশীল মানুষ।  লেখালেখির ভুবনে অন্যান্য লেখকদের চেয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর আর্থিক অবস্থা ছিল অনেক ভালো। তাঁর শৈল্পিক চিন্তার ফসল হল গাজীপুরের পিরুজ আলী গ্রামের নুহাশপল্লী। হুমায়ূন আহমেদের বড় ছেলে নুহাশ হুমায়ূনের নামানুসারে পল্লীটির নাম রাখা হয় ‘নুহাশপল্লী’।

চল্লিশ একর জমিতে তিনি গড়ে তুলেছিলেন বিশাল এই পল্লী। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে এক দুর্গম এলাকায় তিনি নুহাশপল্লীর গড়ে তোলেন। যেখানে তিনি গড়ে তুলেছিলেন শ্যুটিংস্পট, দীঘি আর তিনটি সুদৃশ্য বাংলো বাড়ি। একটিতে  নিজে থাকতেন আর বাকি দুটি ছিল তার শৈল্পিক চিন্তাধারার প্রতিফলন।

নুহাশপল্লীর উদ্যানের পূর্বদিকের খেজুর বাগানের পাশে ‘বৃষ্টিবিলাস’ নামে একটি অত্যাধুনিক ঘর রয়েছে। এর ছাদ টিনের তৈরি; যেন বৃষ্টি হলে শব্দ উপভোগ করা যায়। বৃষ্টির শব্দ শুনতে এই আয়োজন। সুন্দর নকশা, ফলস সিলিং দেওয়া ঘরটি অনেক সুন্দর।

একটু ভেতরে আরেকটি বাংলো রয়েছে যার নাম ‘ভূতবিলাস’। দুই কক্ষের আধুনিক বাংলোটির পেছনে ছোট পুকুর রয়েছে। যার চারিদিক সুন্দর ঘাসে মোড়া ঢাল দিয়ে ঘেরা, এই ঢালের চারিদিকে রয়েছে গাছ-গাছালি।

ভূতবিলাসের পাশ দিয়ে একটি নড়বড়ে কাঠের সাঁকো রয়েছে। যেটার ওপর দিয়ে হেঁটে পুকুরের মাঝখানের ছোট্ট এক টুকরো দ্বীপাকারের ভূখণ্ডে যাওয়া যায়।

দুর্লভ সব ওষুধি গাছ নিয়ে যে বাগান তৈরি করা হয়েছে; তার পেছনেই রূপকথার মৎস্যকন্যা আর রাক্ষস রয়েছে। আরো রয়েছে পদ্মপুকুর, অর্গানিক ফর্মে ডিজাইন করা অমসৃণ সুইমিং পুল।

নুহাশপল্লী যেন সবুজের সমারোহে একখণ্ড নিটোল চিত্র।  প্রাকৃতির এমন সৌন্দর্যের মাঝেও তিনি কৃত্রিম সৌন্দর্য দিয়ে আরো মোহনীয় করে তুলেছেন। যা ঘুরে দেখতে পারলে ভালোই লাগবে। যে কারো মনে আনন্দ দিতে পারবে এই নুহাশ পল্লী।

কেআই/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি