নৈসর্গিক সৌন্দর্যের ছোঁয়া পেতে ঘুরে আসুন পটুয়াখালী
প্রকাশিত : ১৪:৩৬, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৭:৪৭, ৩ মার্চ ২০২২
কুয়াকাটার অপার নৈসর্গিক সৌন্দর্য নিজের চোখে না দেখলে বোঝানো কঠিন। যা শুধু দেখলেই উপভোগ করা যায়। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ সৈকত থেকেই কেবল সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সূর্যোদয়ের সময় মনে হয় বিরাট এক অগ্নিকুণ্ড আস্তে আস্তে সাগর ভেদ করে আসমানের উপরে দিকে উঠে যাচ্ছে। আবার সূর্যাস্তের সময় সাগরের ঢেউয়ের মধ্যে আস্তে আস্তে হারিয়ে যায় সূর্যটা। মনে হয় সাগরের মধ্যেই সূর্যের বাড়ি-ঘর। পূর্ণিমার রাতে সি-বিচের সৌন্দর্য সবকিছুকে হার মানায়। চাঁদের আলোয় বিশাল বিশাল ঢেউগুলো যেন কাছে ডাকে। এমন সৌন্দর্য দেখতে হলে ঘুরে আসেতে হবে পটুয়াখালী জেলার দর্শনীয় স্থানগুলো। যেখানে হাতছানি দেয় নৈসর্গিক সৌন্দর্য।
কুয়াকাটার ইতিহাস-
কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সমুদ্র সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র। কুয়াকাটা নামের পেছনে রয়েছে আরকানদের এদেশে আগমনের ইতিহাস। `কুয়া` শব্দটি এসেছে `কুপ` থেকে। কুয়াকাটা নামকরণের ইতিহাসের পেছনে যে কুয়া সেটি এখনও টিকে আছে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কাছে রাখাইনদের বাসস্থল কেরানীপাড়ার শুরুতেই প্রাচীন কুয়ার অবস্থান।
ধারণা করা হয় ১৮ শতকে মুঘল শাসকদের দ্বারা বার্মা থেকে বিতাড়িত হয়ে আরকানরা এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করে। তাদের মাধ্যমেই এই স্থানটির নামকরণ হয় কুয়াকাটা। জনশ্রুতি আছে ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে বার্মিজ রাজা বোদ্রোপা আরকান জয় করে রাখাইনদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন চালায়। ১৫০টি রাখাইন পরিবার বার্মিজদের হাত থেকে মুক্তির জন্য ৫০টি নৌকায় তিনদিন তিনরাত বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানাধীন মৌডুবি এলাকায় উপস্থিত হন। উক্ত অঞ্চলটি তখন বন জঙ্গলে ভর্তি ছিল। তারা বনের হিংস্র জীব জন্তুর সঙ্গে যুদ্ধ করে, জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করে ধান ফল-মূলের বীজ বপন করে জীবীকা নির্বাহ করতো । তখন ওই বনের কোন নাম ছিল না থাকলেও রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন তার নাম জানত না। যার ফলে সাগর পাড়ি দিয়ে ওই স্থানে বসবাস শুরু করায় রাখাইন ভাষায় তারা নামকরণ করে কানশাই। কিন্তু রাখাইন লোকজন এখানে বসবাস করলেও তাদের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাড়ায় পানি। সাগরের পানি লবণাক্ত হওয়ায় তা খাওয়া সম্ভবপর ছিল না। এজন্য তারা নিজ উদ্যোগে একটি কুয়া খনন করে তা থেকে মিঠা পানি পান করত। মিঠা পানির কুয়ার নামানুসারে স্থানটির নামকরণ হয় কুয়াকাটা। কুয়ার কাছেই তারা স্থাপন করে ৩৭ মণ ওজনের ধ্যানমগ্ন অষ্টধাতুর বৌদ্ধ মূর্তি। মন্দিরের নির্মাণ সৌন্দর্যে ইন্দোচীনের স্থাপত্য অনুসরণ করা হয়। দেখলে মনে হবে থাইল্যান্ড, লাওস বা মিয়ানমারের কোন মন্দির। প্রায় সাড়ে তিন ফুট উঁচু বেদির ওপর মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মের আড়াই হাজার বছর পূর্তি উপলক্ষে ৮৩ বছর পূর্বে অষ্টধাতুর ওই মূর্তিটি ওই স্থানে স্থাপন করা হয় বলে রাখাইন সম্প্রদায়ের ইতিহাস থেকে জানা যায়। প্রায় সাত ফুট উচ্চতার এ বৌদ্ধ মূর্তিটি স্থাপন করেন উপেংইয়া ভিক্ষু। মন্দিরের নীচেই হচ্ছে ঐতিহাসিক কুয়াটি। বর্তমানে সেই কুয়ার পানি খাওয়ার অনুপযোগী অর্থাৎ পরিত্যক্ত। তারপরও কুয়াকাটার ঐতিহ্য ধরে রাখতে কুয়াটিকে নতুনভাবে সংস্কার করা হয়েছে।
কুয়াকাটার নৈসর্গিক সৌন্দর্য-
কুয়াকাটার অপার নৈসর্গিক সৌন্দর্য নিজের চোখে না দেখলে বোঝানো কঠিন। যা শুধু দেখলেই উপভোগ করা যায়। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ সৈকত থেকেই কেবল সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সূর্যোদয়ের সময় মনে হয় বিরাট এক অগ্নিকুণ্ড আস্তে আস্তে সাগর ভেদ করে আসমানের উপরে দিকে উঠে যাচ্ছে। আবার সূর্যাস্তের সময় সাগরের ঢেউয়ের মধ্যে আস্তে আস্তে হারিয়ে যায় সূর্যটা। মনে হয় সাগরের মধ্যেই সূর্যের বাড়ি-ঘর। পূর্ণিমার রাতে সি-বিচের সৌন্দর্য সবকিছুকে হার মানায়। চাঁদের আলোয় বিশাল বিশাল ঢেউগুলো যেন কাছে ডাকে। আর অমাবস্যায় অন্ধকার রাতে দেখা যায় আরেক দৃশ্য ফসফরাসের মিশ্রণে সাগরের ঢেউগুলো থেকে আলোর বিচ্ছুরণ ছড়ায়। কুয়াকাটার সি-বিচের সৌন্দর্য লিখে শেষ করা সত্যিই খুব কঠিন ব্যাপার। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা "সাগর কন্যা" হিসেবে পরিচিত। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৈকত বিশিষ্ট কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সারা বছরই দেখা মিলবে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য। সৈকতের পূর্ব প্রান্তে গঙ্গা-মতির বাঁক থেকে সূর্যোদয় সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়। আর সূর্যাস্ত দেখার উত্তম জায়গা হল কুয়াকাটার পশ্চিম সৈকত।
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নে কুয়াকাটা অবস্থিত। ঢাকা থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার এবং বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার। সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি কুয়াকাটার যে স্থানগুলোভ্রমণ-পিয়াসীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সেগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নরুপ-
কুয়াকাটার কুয়া-
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কাছে রাখাইন পল্লী কেরানীপাড়ার শুরুতেই একটা বৌদ্ধ মন্দিরের কাছে রয়েছে প্রাচীন কুপগুলোর মধ্যে একটি কুপ। তবে বারবার সংস্কারের কারণে এর প্রাচীন রূপটা এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। জনশ্রুতি আছে ১৭৮৪ সালে বর্মী রাজা রাখাইনদের মাতৃভূমি আরাকান দখল করলে বহু রাখাইন জায়গাটি ছেড়ে নৌকাযোগে আশ্রয়ের খোঁজে বেড়িয়ে পড়েন। চলতি পথে তারা বঙ্গোপসাগরের তীরে রাঙ্গাবালি দ্বীপের খোঁজ পেয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেন। সাগরের লোনা জল ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মিষ্টি পানির জন্য তারা এখানে একটি কূপ খনন করেন। এরপর থেকে জায়গাটি ‘কুয়াকাটা’ নামে পরিচিতি পায়।
শুঁটকি পল্লী-
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের সাত কিলোমিটার পশ্চিম প্রান্তে আছে শুঁটকি পল্লী। এখানে অনেক জেলেদের বসবাস। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে চলে মূলত শুঁটকি তৈরির কাজ। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এনে সৈকতেই শুঁটকি তৈরি করেন জেলেরা। কম দামে ভালো মানের শুঁটকিও কিনতে পাওয়া যায় এখানে। পর্যটকরা তাজা মাছ কেটে শুঁটকি-জাত করার দৃশ্য দেখতে ভিড় জমায়। দেখতে পায় জেলেদের ইলিশ শিকারে সাগরে ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালি করা জীবন জীবিকার যুদ্ধ। দেখতে পায় বেড় জালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকারের অনন্য দৃশ্য।
গঙ্গা-মতিরজঙ্গল-
কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত শেষ হয়েছে পূর্ব দিকে গঙ্গা-মতির খালে। এখান থেকেই শুরু হয়েছে গঙ্গা-মতির জঙ্গল। অনেকে একে গজমতির জঙ্গলও বলে থাকেন। নানান রকম বৃক্ষরাজি ছাড়াও এ জঙ্গলে আছে বিভিন্ন রকম পাখি, বন মোরগ-মুরগি, বানর ইত্যাদি।
ক্রাব আইল্যান্ড-
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূর্ব দিকে গঙ্গা-মতির জঙ্গল ছাড়িয়ে আরও সামনে গেলে আছে ক্রাব আইল্যান্ড বা কাঁকড়ার দ্বীপ। এ জায়গায় আছে লাল কাঁকড়ার বসবাস। নির্জনতা পেলে এ জায়গার সৈকত লাল করে বেড়ায় কাঁকড়ার দল। ভ্রমণ মৌসুমে (অক্টোবর-মার্চ) কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে স্পিড বোটে যাওয়া যায় ক্রাব আইল্যান্ডে।
ফাতরার বন-
আন্ধারমানিক নদীর মোহনার পশ্চিম দিকে রয়েছে সুন্দরবনের শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল, নাম তার ফাতরার বন। ভৌগোলিকভাবে বরগুনা জেলায় বাগানটির অবস্থান থাকলেও কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা বিনোদনের জন্য সেখানে ট্রলার যোগে যাতায়াত করেন। তবে সুন্দরবনের মত এ বনে নেই তেমন কোন হিংস্র প্রাণী। বন মোরগ, বানর আর নানান পাখি আছে এ বনে। কদাচিৎ এ বনে বুনো শুকরের দেখা মেলে। কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বনে যেতে হবে ইঞ্জিনচালিত নৌকায়।
সীমা বৌদ্ধ মন্দির-
কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়ার সামনেই সীমা বৌদ্ধ মন্দির। কাঠের তৈরি এই মন্দির কয়েক বছর আগে ভেঙে দালান তৈরি করা হয়েছে। তবে মন্দিরের মধ্যে এখনও আছে প্রায় ৩৭ মণ ওজনের প্রাচীন অষ্টধাতুর তৈরি বুদ্ধ মূর্তি।
কেরানীপাড়া রাখাইন পল্লী-
সীমা বৌদ্ধ মন্দির থেকে সামনেই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাখাইনদের আবাসস্থল কেরানীপাড়া। এখানকার রাখাইন নারীদের প্রধান কাজ কাপড় বুনন। রাখাইনদের তৈরি শীতের চাদর বেশ আকর্ষণীয়। শীত মৌসুমে পোশাক তৈরির ধুম পড়ে কুয়াকাটার রাখাইন পল্লীগুলোতে । দিন-রাত পরিবারের সবাই মিলে মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করে বাহারি ডিজাইন ও নানা রঙের পোশাক। আর এই পোশাক কিনতে ভিড় করে বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
কুয়াকাটা কাঠের নৌকা-
২০১২ সালে কুয়াকাটা ঝাউবন সংলগ্ন সৈকতে ৬২ হাত লম্বা ও ১৬ হাত চওড়া ঐতিহ্যবাহী একটি সাম্পান বালু ক্ষয়ে ক্ষয়ে শতবছর পর জেগে ওঠে। এটিকে কুয়াকাটা সৈকত লাগোয়া বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন টিনশেডের একটি বেষ্টনীর ভিতর স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে এটি নৌকা জাদুঘর নামে পরিচিত । প্রতিদিন শত শত দর্শর্ণাথী এ নির্দশনটি দেখতে ভীড় করে।
বাউফলের মৃৎশিল্প-
বাউফলের মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিলাস সামগ্রী এখন বিশ্ব বাজারে। পটুয়াখালীর বাউফলের মাটির তৈরি মৃৎশিল্প বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্ত থেকে নান্দনিক বৈচিত্রের শৈল্পিক সম্ভার নিয়ে এখন বিশ্ব বাজারের দোকানে ঠাঁই নিয়েছে। মৃৎশিল্পীদের মাটির তৈরি দৃষ্টিনন্দন বিলাস সামগ্রী ইটালি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, ইউকে, স্পেন, জাপান, ইউএস ও নিউজিল্যান্ডে বেশ চাহিদা থাকায় ওই সমস্ত দেশে রফতানি হয়। এখানে গার্হস্থ্য জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন হাড়ি, পাতিল, কলস, থালা, বাসন , জলকান্দা, জালের কাঠি ইত্যাদি তৈরি করা হয়।
সোনার চর -
পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলার বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে জেগে ওঠে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা সোনার চর। এখানে রয়েছে বিস্তৃত বনভূমির পাশাপাশি সাত কি.মি. দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশ সরকার ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংরক্ষিত এ বনভূমি বন্য প্রাণীদের জন্য অভয়ারণ্য ঘোষণা করে। সোনার চরকে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্রে রুপ দেওয়ার উদ্দেশ্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্নমুখী উদ্যোগ, এগুলো বাস্তবায়ন হলে সোনার চর হবে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম আর্কষণীয় বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র।
মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির-
কুয়াকাটা সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায় রাখাইনদের একটি গ্রামের নাম মিশ্রিপাড়া। এখানে আছে বড় একটি বৌদ্ধ মন্দির। কথিত আছে এ মন্দিরের ভেতরে আছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মূর্তি। এছাড়া এখান থেকে সামান্য দূরে আমখোলা গ্রামে আছে এ অঞ্চলে রাখাইনদের সবচেয়ে বড় বসতি।
পায়রা নদীর ইলিশ মাছ-
পটুয়াখালী জেলার পায়রা নদীতে প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। পায়রা নদীর ইলিশ স্বাদে অতুলনীয় বলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে এর কদর রয়েছে। পযটক যারাই পটুয়াখালীতে আসে পায়রা নদীর ইলিশের স্বাদ নিতে কখনোই ভুল করে না। এই মাছ বেশি লবণাক্ত পানি সহ্য করতে পারে না। এই মাছ বড় বড় নদী এবং তৎসংলগ্ন সাগর মোহনায় পাওয়া যায়।
এসএইচ/
আরও পড়ুন