ঢাকা, বুধবার   ১৩ নভেম্বর ২০২৪

খাদ্যে ক্যান্সারের অণুজীব খুঁজে দেবে মোবাইল অ্যাপ

প্রকাশিত : ০৮:৪৮, ১১ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১৭:০৯, ১৫ জুলাই ২০১৯

বিভিন্ন ধরণের খাদ্যের ক্যান্সার অণুজীব সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে একটি মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন। এখন পর্যন্ত ৮৩ হাজারেরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে ড্রিমল্যাব নামের এই অ্যাপ্লিকেশনটি।

গাজর, আখরোট এবং কমলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করা অণুজীব রয়েছে। গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা ঘুমিয়ে থাকার সময়, অর্থাৎ ফোনটি যখন অলস পড়ে থাকে তখনই এই অ্যাপটি কাজ করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বকে আরও ‘দীর্ঘ পথ’ পাড়ি দিতে হবে।

অ্যাপটি একটি অ্যালগরিদম ব্যবহার করে প্রতিদিন ৮ হাজারেরও বেশি খাদ্যকনা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকে। তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয় বিশদ তথ্য সম্বলিত ডাটাবেস। মূলত এর মাধ্যমে সেই অণুজীবগুলোকে খোঁজা হয় যেগুলো বিভিন্ন ল্যাব পরীক্ষায় ক্যান্সার দমনে সফল প্রমাণিত হয়েছে।

আঙ্গুর, ধনেপাতা এবং বাঁধাকপিতে এই ক্যান্সার বিরোধী অণুজীবের সংখ্যা বেশি পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা যায় যে বর্তমানে প্রচলিত অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ও অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল ওষুধ ক্যান্সার নির্মূল থেরাপিতে ভূমিকা পালন করতে পারে।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অস্ত্রোপচার ও ক্যান্সার বিভাগের প্রধান গবেষক ড. কিরিল ভেসেলকভ বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। পরবর্তী ধাপে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা হবে, যে বিভিন্ন ওষুধের সমন্বয় এবং খাদ্য-ভিত্তিক অণুজীবগুলো মানুষের ওপর কেমন প্রভাব ফেলে।’

ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে এর স্বাস্থ্য তথ্য কর্মকর্তা উইলিন উ বলেছেন, এই গবেষণার মাধ্যমে আমরা হয়তো নতুন ক্যান্সার থেরাপি খুঁজে বের করতে বা এর পথ পেতে সক্ষম হব। মূলত যেই থেরাপি আমাদের খাদ্য এবং পানীয়তে প্রাকৃতিকভাবে রয়েছে।

‘ক্যান্সারের চিকিৎসায় এই পদ্ধতিটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। সেখানে এটা দেখা প্রয়োজন যে এটি ক্যান্সারের চিকিৎসায় আদৌ কার্যকর কি না।’

‘ক্যান্সার ঝুঁকি হ্রাস করার ক্ষেত্রে কোনও একটি বিশেষ ধরনের খাদ্য খাওয়ার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল আপনার সামগ্রিক খাদ্যাভ্যাস।’

‘এটি প্রমাণিত যে আপনি আঁশযুক্ত খাবার বিশেষ করে ফল ও সবজি বেশি খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারবেন। সেইসঙ্গে প্রক্রিয়াজাত মাংস, লাল মাংস এবং উচ্চ ক্যালরি-যুক্ত খাবার /পানীয় খাওয়ার হার কমিয়ে আনাটাও জরুরি।’

অ্যাপ্লিকেশনটি ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন এবং ভোডাফোন ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে, যার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে নেচার পত্রিকায়।

সূত্র: বিবিসি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি