ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

কর্ম ক্ষেত্রে সিলেটের নারীদের অংশগ্রহণ কম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪২, ৮ মার্চ ২০২০

সিলেট বিভাগের বড় একটি অংশ হাওড় অঞ্চল হওয়ায় যেখানে নারীশিক্ষার হার কম। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক চাকরিতেও নারীর অংশগ্রহণ তেমন নেই। পাশাপাশি প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হওয়ায় বিদেশ থেকে তাদের কাছে আসছে পর্যাপ্ত রেমিট্যান্স। আর এ জন্য পারিবারিকভাবে নারীদের প্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নিয়োগে এক ধরনের অনীহা লক্ষ্য করা গেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে, সিলেট বিভাগের ৭৮ শতাংশ নারীই আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কোনো কাজে অংশ নেন না।

বিবিএসের ২০১৬-১৭ সালের ‘লেবার ফোর্স সার্ভে’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে কর্মবয়সী (পঁচিশোর্ধ্ব) নারীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ৭৭ হাজার। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলে বাস করেন ২৭ লাখ ৫২ হাজার। আর শহরে অবস্থান করেন ৬ লাখ ২৫ হাজার কর্মবয়সী নারী। তাদের মধ্যে মাত্র ২২ শতাংশ নারী কৃষি, শিল্প ও সেবা এ তিন ক্যাটাগরিতে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কাজে সক্রিয়।

কর্মবয়সী হলেও নারীদের বড় একটি অংশ কাজে যোগ না দেয়ার পেছনে মোটা দাগে দুটি কারণকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। একটি হচ্ছে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অভাব, অন্যটি রেমিট্যান্সনির্ভর পারিবারিক ব্যবস্থা।

বিবিএসের প্রতিবেদন বলছে, রাজশাহী অঞ্চলের নারীরা সবচেয়ে বেশি আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শ্রমে নিযুক্ত হচ্ছেন। এ অঞ্চলের ৪৬ দশমিক ৯ শতাংশ কর্মক্ষম নারী অর্থনীতিতে সরাসরি অবদান রাখছেন। এ হার ঢাকা বিভাগে ৩২ দশমিক ২, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৫, খুলনায় ৩৩ দশমিক ৫, রংপুরে ৩৩ দশমিক ৩ ও বরিশালে ২৬ শতাংশ।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য (২০০৫-১৯) অনুযায়ী, সিলেটের ২ লাখ ১৬ হাজার ১৭৫, মৌলভীবাজারের ১ লাখ ৭৪ হাজার ২৪১, হবিগঞ্জের ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৫৩ ও সুনামগঞ্জের ১ লাখ ২৩ হাজার ৩২৯ জন প্রবাসে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। এসব প্রবাসীর মাধ্যমে এ অঞ্চলে প্রচুর রেমিট্যান্স আসে, যার ভিত্তিতে আবর্তিত হয় সেখানকার অর্থনীতি।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি