ঢাকা, বুধবার   ২৬ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মাথায় বল নিয়ে সাইকেলে ১৩ কিমি

গিনেস বুকে মাগুরার যুবক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০২, ১২ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২০:০৯, ২২ আগস্ট ২০১৭

মাথায় বল নিয়ে ১৩.৭৪ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছেন আবদুল হালিম

মাথায় বল নিয়ে ১৩.৭৪ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছেন আবদুল হালিম

Ekushey Television Ltd.

মাথায় ফুটবল নিয়ে সাইকেল চালিয়ে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করার রেকর্ড গড়েছেন এক বাংলাদেশী যুবক। মাগুরার ফুটবল জাদুকর আবদুল হালিমকে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার এ স্বীকৃতি দিয়েছে। হালিম মাগুরার শালিখা উপজেলার অজপাড়াগাঁ ছয়ঘরিয়া গ্রামের কৃষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারির ছেলে। এর আগে ফুটবল নিয়ে নৈপুণ্য দেখিয়ে আরও দু’বার বিশ্ব সেরার স্বীকৃতি পান তিনি।

ফুটবলপাগল হালিম ২০১১ সালে প্রথম বিশ্বরেকর্ড গড়ে গিনেস বুকে নাম লেখান। সেটি ছিল ২ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট নিরবচ্ছিন্নভাবে মাথায় ফুটবল নিয়ে ১৫.২০ কিলোমিটার পথ হাঁটা। এরপর ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বারের মতো স্বীকৃতি পান ২৭.৬৬ মিনিটে ১০০ মিটার রোলার স্কেটিংয়ের জন্য। ওই দুটি রেকর্ডের কারণে ফুটবল জাদুকর হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিতি পান তিনি।

এবার তৃতীয়বারের মতো স্বীকৃতি পেলেন সাইকেল চালানো অবস্থায় মাথায় বল নিয়ে ১৩.৭৪ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য।

এ নতুন রেকর্ডের জন্য হালিম ৮ জুন দুপুর ১১.৫৩ মিনিটে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে বল মাথায় নিয়ে সাইকেল চালানো শুরু করেন। কিন্তু বাতাসের প্রচণ্ড ঝাপটায় দুপুর ১টা ১২ মিনিটে তার মাথা থেকে বল পড়ে যায়। ততক্ষণে তিনি ১৩.৭৪ কিলোমিটার অতিক্রম করে ফেলেন, যা নতুন রেকর্ড।

দু-দু’বার বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী হালিম নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য ২০১৬ সালে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। সেসময় তারা কমপক্ষে ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার সীমা নির্ধারণ করে দেয়। তাদের বেঁধে দেয়া সীমার চেয়ে বেশি পথ অতিক্রম করেন হালিম। তিনি ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিটে ১৩.৭৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন। ভিডিওতে ধারণ করা হয়।

এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে পুরো ভিডিও, স্থিরচিত্রসহ অন্যান্য প্রমাণাদি গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হয়। সেসব বিচার-বিশ্লেষণ করে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় আবদুল হালিমকে নতুন রেকর্ডের স্বীকৃতি দেয় গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ।

হালিম বলেন, ‘এই আনন্দ বিশ্ব জয়ের। এর প্রকাশ কীভাবে করবো জানি না। আমার জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। চ্যালেঞ্জ ছিল নিজের সাথেই। আমি চেয়েছি এটি করতে এবং তার জন্য নিয়মিত পরিশ্রমের ফসল হিসেবেই পাওয়া সম্ভব হয়েছে।’
//এআর


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি