ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

অগোছালো ব্যক্তিরাই নাকি বেশি বুদ্ধিমান!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৩৫, ১৫ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ২২:১৩, ১৫ এপ্রিল ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

অগোছালো কাজ জীবনের অনেক ক্ষতি করে দেয়। তাছাড়া অগোছালোভাবে জীবন যাপন করলে উন্নতি লাভও করা যায় না। এলোমেলো জীবনে হতাশা নেমে আসে। আর হতাশা জীবনকে বিষময় করে তোলে। তাই সব কাজই নিয়ম-কানুনের মধ্যে রাখতে হয়। তবে যারা অগোছালো প্রকৃতির ব্যক্তি তারা না কি বেশিই বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী বিশিষ্ট হোন। কথাটা ভিন্ন শোনা গেলেও এমনটাই বলছেন মনোবিদরা।

এছাড়া সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, অগোছালো ব্যক্তিরা সৃজনশীল হয়ে থাকে। তাদের মতে, যারা গোছালো থাকেন তাদের মাথা থেকে তেমন কোন আইডিয়ার প্রকাশ হয় না বা বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে পারে না, আরা যারা অগোছালো তাদেরকে সৃজনশীল পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন আইডিয়ায় চলতে হয়। তখন এদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটার সুযোগ পায়।

এছাড়া তাদের আগ্রহের সীমানাও অনেক বিস্তৃত থাকে। কাজের পাশাপাশি একটু অন্য ধরনের সৃজনশীল কাজ যেমন, লেখা-লিখি, ছবি আঁকার মতো কাজও তারা করে থাকেন। এসব কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে দেখা যায় অগোছালো জীবন। এই ধরনের ব্যক্তিরা সরলরেখা পথে চিন্তা-ভাবনা করতে পারেন না। মনোবিদরা জানিয়েছেন, আমাদের মস্তিষ্কের বামদিকের অংশ সরলরেখার পথে চিন্তা-ভাবনা করে আর ডানদিকের অংশ একটু ভিন্ন ভাবে। অগোছালো ব্যক্তিরা কোনও তথ্যকে বিশ্লেষণ করার সময় তাদের মস্তিষ্কের ডানদিকের অংশ দিয়ে কাজ করে। এরা নানান রকমমের মানুষের সঙ্গে মিশতে ভালবাসেন। যার ফলে বিভিন্ন কিছু শিখতে পারেন, তাদের অভিজ্ঞতার ঝুলিও সমৃদ্ধ হয়। শেখার আগ্রহ, জানার ইচ্ছা অগোছালো ব্যক্তিদের অনেক বেশি হয় বলেই মনোবিদরা মনে করছেন।

গবেষকরা জানিয়েছেন, অগোছালো ব্যক্তিদের সময় জ্ঞান থাকে না। এরা একটা কাজে এমন মনোযোগী হয়ে থাকে যে পরের কাজটি সময়মতো করতে ভুলে যায়। এ কারণে তাদের সবকিছু অগোছালো হয়ে যায়। তবে এই ধরনের ব্যক্তিরা একটু মুখরা হয় এবং নিজের বক্তব্যকে দৃঢ় ভাবে প্রকাশ করে।      

কেএনইউ/টিকে


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি