ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

অগ্নি ঝুঁকিতে রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ মার্কেট (ভিডিও)

আহম্মদ বাবু

প্রকাশিত : ১১:১০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সচেতনতার অভাবে রাজধানীসহ সারাদেশের অধিকাংশ মার্কেট অগ্নিনিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বলছে, ঝুঁকি এড়াতে যে কোন ধরনের সহযোগিতা করবে তারা।

রাজধানীর নবাবপুরে দেশের সব চেয়ে বড় ইলেকট্রিক্যাল মার্কেট। প্রতিদিন এখানে ১৩৭টি মার্কেটে লেনদেন হয় শত শত কোটি টাকার। কিন্তু আগুনের জন্য নেই কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

কয়েক বছর আগে কিছু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র লাগানো হলেও সেগুলোর কার্যকারিতা এখন আর নেই।

ব্যবসায়ীরা জানান, ফায়ার সলিউশন নবাবপুরের কোনো মার্কেটেই নাই। পুরান ঢাকার মার্কেটগুলো নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।

ব্যবসায়ীরাও স্বীকার করছেন, নবাবপুরের কোন মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা নেই।

ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ীদের সচেতনতার মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল এসোসিয়েশন চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, “সঠিকভাবে যে করতে পারবো তা বলছিনা। কিন্তু প্রতিটা দোকানে ব্যবস্থা নেয়ার জোর তাগিদ দেয়া হচ্ছে। ৬ মাসের মধ্যে আমরা একটা পর্যায়ে আসতে পারবো।”

দেশের বাজারে আধুনিক ফায়ার এলার্ম ও হাইড্রেন্ট সিস্টেম পাওয়া যায়। এসবের মাধ্যমে দ্রুত আগুন লাগার স্থান নির্ণয় করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

এছাড়া রয়েছে বিশেষ ধরনের বল। যেটি দোকান অথবা বাসায় রাখলে অন্তত একশ’ বর্গফুট এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

আগুন নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রপাতি আমদানিকারকরা বলছেন, প্রযুক্তির যুগে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

অলিম্পিয়া ফায়ার সলিউশনের জিএম মো. মিরান হোসেন বলেন, “মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুন লেগেছে। কিন্তু ওখানকার ব্যবসায়ী ১৫-২০ লাখ টাকা খরচ করে যদি ফায়ার হাইডেন সিস্টেম করতো তাহলে এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটতো না। একের পর একে মার্কেটগুলো পুড়ে যাচ্ছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা কেউ গ্রহণ করছেনা।”

আগুনের বিষয়ে মানুষের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত জানানোর অনুরোধ জানান কর্মকর্তারা। দেশের বেশিরভাগ মার্কেটে আগুন বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে হয়। এ কারণে বিদ্যুৎ লাইনের লোড পরীক্ষা করা দরকার।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপ-পরিচালক ছালেহ উদ্দিন বলেন, “প্রতিষ্ঠানে কি ধরনের দাহ্য বস্তু থাকে, প্রতিষ্ঠানে কি ব্যবহার করা হবে- এগুলোর উপর নির্ভর করে একটা ফায়ার সেফটি প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। এই ফায়ার সেফটি প্ল্যান অনুযায়ী যদি আপনি সেটার বাস্তবায়ন করেন তাহলেই ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে পারবে। আর সেটাই হলো স্থায়ী ব্যবস্থা।”

আগুন নিয়ন্ত্রণে বাধা না দিয়ে ফায়ার ফাইটারদের সহযোগিতারও আহবান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তাদের। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি