ঢাকা, শুক্রবার   ২১ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

অতীত পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন দেশের নারীরা (ভিডিও)

মাহতাব মিনহাজ

প্রকাশিত : ১০:৫৫, ৮ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৫:৪৬, ৮ মার্চ ২০২২

Ekushey Television Ltd.

বঞ্চনা আর তিক্ত অতীত পেরিয়ে অনেক দূর এগিয়েছেন বাংলাদেশের নারী। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পুরুষের সাথে সমানতালে কঠোর পরিশ্রম করছেন। অনলাইনে খাবার সরবরাহ কিংবা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছেন অনেক নারী।

ফাগুনের শেষেই তপ্ত রাজধানীর পথ, গ্রীষ্মের আগেই ঝড়াচ্ছে ঘাম। তবুও থেমে নেই জীবনের চাকা। সাইকেলের প্যাডেল ঘোরে, ঘোরে নিপুর জীবন। অনলাইনে খাবার সরবরাহ করেন গাইবান্ধার মেয়ে নিপু। দিনের পুরোটা সময় কাটে এভাবেই। 

শুধু অভাবের জন্য নয়, নিজেকে আত্মনির্ভরশীল মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতেই তার এই সংগ্রাম। এজন্য গৃহশিক্ষকতাও করেন গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্সের এই ছাত্রী।

অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী ফাহমিদা মাহজাবিন নিপু বলেন, “বাবার কাজে হাত রেখে আমি যে তার পাশে আছি, এই বলার ইচ্ছাটার কারণে আমার শুরুটা। এই সমাজের অনেকের অনেক ধরনের চিন্তা থাকে যে মেয়েদের কাজ শুধু ঘরেই, বাহিরে যাওয়া নয় বা বাইরে কাজ করা মেয়েদের জন্য নয়। আমার কাছে বিষয়টা একদম অন্যরকম। মেয়েরা ঘরে-বাইরে সব জায়গায়ই কাজ করতে পারে।”

“অনেকেই তাকিয়ে থাকেন, আমি আসলে এগুলোকে গুরুত্ব দেই না। আমি জানি, কাজ করলেও তারা কথা বলবে, না করলেও বলবে। বিশেষ করে যখন আমি সাইকেল নিয়ে যাচ্ছি, তখন অনেক মা তার মেয়েকে বলেন যে বড় হয়ে তোমাকেও সাইকেল চালানো শিখতে হবে” বলেন নিপু। 

ঢাকার রাজপথে শিল্পী আক্তারের হাতের ইশারায় থামছে গাড়ি, আবার তার ইশরায় চলছেও। ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট শিল্পী, পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে সমানতালে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন। আবার সামলাতে হচ্ছে সংসারও।

ট্রাফিক পুলিশের সার্জন শিল্পী আক্তার বলেন, “ আমি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক ছিলাম। আমি চাই যে পুরুষের মতো নারীরা বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি কর্মে চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করুক। এখানে জনমানুষের সেবা দেওয়া যায়, সবাই দেখে বলে মেয়েরা এখন অনেক এগিয়ে- এই হিসেবে আমি এই পেশায় এসেছি।”

অন্যের চোখ রাঙানি আর কটু কথা পাশ কাটিয়ে পুরুষের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে চলেছেন নারীরা। সংগ্রামী নারীদের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে মনে করেন এই অধিকার কর্মী।

অধিকার কর্মী খুশি কবির বলেন, “তারা নিজের মনের ভেতর থেকে ভয়-ভীতিটা তুলে ফেলেছেন। বাসার ভেতরেও তো আমি নিরাপদ না। যখন নেই, তবে কেন আমি বাইরে গিয়ে আমার পছন্দের কাজটি করবো না কেন। এই যে মানসিকতাটা, চিন্তার জায়গাটা। তো রাষ্ট্রের বড় দায়িত্ব হচ্ছে এ বিষয়গুলোর দ্বারগুলো খোলা।”

বঞ্চনা-তিক্ত অতীত পেরিয়ে উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মূল ধারায় অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশের নারী।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি