ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

অনন্তের নক্ষত্র হয়ে থাকুক মামুন

প্রকাশিত : ১৭:২৯, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৮:১৮, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সহকর্মী মামুনুর রশীদ (মামুন) নেই। এমন আকস্মিক খবর শোনার পর অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। এমন সুদর্শন, পরিপাটি একজন মানুষের সঙ্গে মৃত্যুর কয়েকঘন্টা আগেও প্রধানমন্ত্রীর এ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে কথা বলেছি। চারিদিকে কোলাহল ছিল বলে মুঠোফোনের আলাপ কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছিল। তবে তার কন্ঠের দৃঢ়তা স্পষ্ট ছিল। বলছিলেন-‘মঙ্গলবার একনেক সভা আছে’। মঙ্গলবার আমার ভাগেই পড়েছিল একনেক সভার নিউজ। যাওয়া হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীর বিটে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি মাত্র কিছুদিন আগে। বয়সে বছর তিনেক ছোট হলেও মামুন এই বিটে অনেক অভিজ্ঞ আমার চেয়ে। প্রথমদিন প্রধানমন্ত্রীর নিউজ কাভার করতে যাওয়ার আগে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে দেখা। নিউজরুমে তার অলিখিত নির্ধারিত ডেস্কে বসা। আমাকে দেখে একফালি হাসি দিয়ে বললেন, কি!প্রথম দিন? মিস্টি পাওনা থাকলো।
আমিও উৎসাহ নিয়ে বললাম-অবশ্যই।
পরে কাছে ডেকে বিটের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আমাকে অবহিত করলেন। যা সত্যিই আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বেশ কিছুদিন একা বিটের নিউজ কাভার করে ক্লান্ত মামুন, তাই একজন সহকর্মী পেয়ে তার আনন্দ ছিল দেখার মতো। নির্ভার মনে হচ্ছিল। “যাক, ভাগাভাগি করে কাভার করা যাবে। একজন খুব প্রয়োজন ছিল”-এমন নির্ভেজাল আহবান কাছে টেনে নেবার জন্য যথেষ্ঠ। আবার বলছিলেন, আসলে ছুটি নিতে হবে, আর পারছি না। কি করবো..!
ছুটির আকুলতা মামুনের চেহারায় স্পষ্ট ছিল। কিন্তু এই ছুটি যে চিরদিনের জন্য তা বোঝার সুযোগ দেয়নি মৃত্যু।
প্রিয় সহকর্মী মামুনের মৃত্যু সংবাদ যখন লিখছি, গালভরা হাসিমুখটাই বারবার ভাসছিল চোখে। আহা! কি পরিপাটি, সতেজ যুবক। নিউজের প্রতিটি লাইনের একেকটি শব্দ আমাকে বিদ্ধ করছিল ভীষণ। কিছু সময় আগেও যার সাথে কথা বলেছি, সেই প্রাণবন্ত মানুষটি নেই। তার মৃত্যু সংবাদও লিখছি আমি।
খুব অল্প সময়ের কাছে পাওয়া সময়টুক থাকুক স্মৃতির ফ্রেমে। মামুন নামের এই প্রিয় মানুষটি থাকুক অনন্তের নক্ষত্র হয়ে।

লেখক : প্রয়াত সাংবাদিক মামুনুর রশিদের সহকর্মী।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি