অনলাইন প্লাটফর্মের নামে এমএলএম (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:১৬, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৫:১৮, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসার শুরু এক দশকেরও বেশি আগে। কিন্তু শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানগুলো আশানুরূপ গ্রাহক টানতে পারেনি। যেকারণে অনেক প্রতিষ্ঠানেই ব্যবসায়িক সাফল্য আসেনি। ব্যবসা গুটিয়েও নিয়েছিলেন অনেক উদ্যোক্তা। তবে গত কয়েক বছরে বদলে গেছে চিত্র।
সম্প্রতি রাজধানীসহ সারাদেশ দ্রুতগতির ইন্টারনেটের আওতায় আসায় অনলাইন ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। করোনাকালে প্রায় সব ব্যবসা যখন ক্ষতিগ্রস্ত, তখন ই-কমার্সে ঘটেছে বড় উলম্ফন। গত এক বছরে অনলাইনে বিক্রি বেড়েছে ২০০ শতাংশের বেশি।
ই-কমার্স উদ্যোক্তারা বলছেন, এই সফলতার সুযোগ নিয়েই কিছু প্রতিষ্ঠান শুরু করেছে এমএলএম ব্যবসা। এক্ষেত্রে নিজস্ব পুঁজি ছাড়াই ব্যবসায় নামছে প্রতিষ্ঠানগুলো। শুরুতেই গ্রাহকদের দিচ্ছে লোভনীয় অফার। এভাবে গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি কোটি অর্থ তুলে নিচ্ছে। অথচ এরপর গ্রাহকের পণ্য সরবরাহে বিভিন্ন অনিয়ম করছে তারা। একইসাথে এই ব্যবসার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো নিয়ম-নীতিও মানা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী হচ্ছেন গ্রাহকরা, যেকারণে পুরো ই-কমার্সের ওপরেই আস্থা হারাচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে আজকের ডিল এর সিইও ফাহিম মাশরুর জানান, যেসব প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের অর্থে ব্যবসা করে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে ই-কমার্স বলা যায় না, সেগুলো মূলত ফাইন্যান্সিয়াল ইনভেস্টমেন্ট বিজনেস। আর এসব প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণাও করছে|
এদিকে, ই-ক্যাব এর সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল জানান, গুটি কয়েক প্রতিষ্ঠান গোটা ই-কমার্স খাতের সুনাম নষ্ট করছে, যা কারো জন্যই কাম্য নয়।
ই-কমার্স নিয়ে নতুন যে নীতিমালা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে এবং যেসব প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন, ডিল এর সিইও ফাহিম মাশরুর। তাহলে দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরবে বলেও আশা করছেন তিনি।
এদিকে ই-ক্যাব এর সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল জানান, ই-ক্যাব এর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম মেনেই ব্যবসা করছে, তারপরেও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পওায়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
দেখুন ভিডিও :
এসবি/
আরও পড়ুন