ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

অনলাইন রিটার্নে ২ হাজার টাকা মওকুফ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৬, ১১ জুন ২০২০

করোনা ভাইরাস মহামারীর ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এবারের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় আগামী অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়।

এতে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলকে জনপ্রিয় করতে কর ছাড় দেয়া হয়েছে। যেসব করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করবে তাদেরকে ২ হাজার টাকা কর ফেরত দেয়া হবে। যা আয়কর বিভাগের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবে। টিআইএন থাকলেই রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক: সব টিআইএনধারীদের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে রিটার্ন জমার সংখ্যা বাড়ে এবং কর ফাঁকি বন্ধ হবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি সব শ্রেণির করদাতাদের সুবিধার্থে রিটার্ন জমার ফরম সহজ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছর থেকে কম আয়ের লোকজন এক পৃষ্ঠার ফরমে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।

অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘আয়কর বিভাগের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ওপর আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছি। আমি আশ করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আয়কর বিভাগে এ ট্রান্সফরমেশন সম্পন্ন করতে আমরা সক্ষম হবো। এবং এর ফলে সম্মানিত করদাতাগণ অতি সহজে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ও কর প্রদান করতে পারবেন।’ 

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, 'অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল এবং কর প্রদানের বিষয়টিকে জনপ্রিয় করার জন্য যেসব করদাতা প্রথমবারের মতো অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন তাদের ২ হাজার টাকা কর রেয়াত প্রদানের প্রস্তাব করছি। আমি আশা করি, সম্মানিত করদাতাগণ কর রেয়াতের এ সুযোগ গ্রহণ করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে উৎসাহিত হবেন, যা আয়কর বিভাগের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে।' 

এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।

আগাম কর কমলো: স্থানীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের সুবিধার্থে কাঁচামাল আমদানিতে আগাম কর কমানো হয়েছে। এটি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে। এতে কিছুটা হলেও স্থানীয় উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। যদিও রিটার্ন জমার সঙ্গে আগাম কর ফেরত পাওয়া যাবে।

ভ্যাট আপিলের খরচ বাড়লো: অযৌক্তিক ভ্যাট মামলা দায়ের প্রবণতা হ্রাস করতে আপিলাত ট্রাইব্যুনাল ও আপিল কমিশনারেটে আপিল দায়েরের খরচ বাড়লো। আগে দাবিকৃত করের ১০ শতাংশ জমা দিতে আপিল করতে হতো। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে আপিল করার খরচ বাড়বে।

মেডিটেশন সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি: করোনাভাইরাসে জনগণের মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোবল অটুট রাখতে মেডিটেশন সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি বহাল রাখা হয়েছে। অর্থাৎ আগের খরচেরই মেডিটেশন করা যাবে।

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি