ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অনশনরত শিক্ষকরা চিকিৎসা নিচ্ছেন না

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:০৭, ৭ জুলাই ২০১৮

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে এমপিওভুক্তির দাবিতে লাগাতার অনশন কর্মসূচির অাজ ১২তম দিন। গত ২৫ জুন থেকে শুরু হওয়া এ অনশন কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত প্রায় দু`শতাধিক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় অাছে দুইজন শিক্ষক। অসুস্থ শিক্ষকরা চিকিৎসা নিয়ে আবার অনশনে ফিরেছেন বলে একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে জানিয়েছেন অান্দোলনরত শিক্ষকদের নেতা ড. বিনয় ভূষণ রায়। এর অাগে অসুস্থ হয়ে পড়া অনেক শিক্ষক স্যালাইন নিলেও গত পরশুদিন (৫ জুলাই) থেকে স্যালাইনসহ যাবতীয় চিকিৎসা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন অান্দোলরত শিক্ষকরা।

অাজ সকালে শনিবার শিক্ষক নেতা মাহমুদুন্নবী ডলার একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, স্বীকৃতি পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন। এখন তারা দাবির বিষয় তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। চলতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দুটি লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এর মধ্যে বরাদ্দ করা টাকা কম হলে সব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আওতায় এনে এবার আংশিক বেতন চালু করে পরবর্তী অর্থবছরে তা সমন্বয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় দুর্বল হয়ে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য এমপিওভুক্তির পর তিন বছর সময় দিতে দাবি জানিয়েছেন তারা।

চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচির প্রতি ইতোমধ্যে সংহতি প্রকাশ করেছেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা অধ্যাপক ইয়াসিন আলী। সংহতি প্রকাশকালে তিনি বলেন, সরকারের উচিত দাবি মেনে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।

অান্দোলনরত শিক্ষকদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, বাংলাদেশে পাঁচ হাজারের বেশি স্বীকৃতি পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৫-২০ বছর ধরে এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় আছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বিনা বেতনে অত্যন্ত কষ্টে জীবন যাপন করছেন।

শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিনই শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছেন বিশিষ্টজনরা। ইতিমধ্যে ১৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক এক বিবৃতিতে দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সাংবাদিক-লেখক কামাল লোহানী স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক অজয় কুমার রায়, কথাশিল্পী ও অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক, অধ্যাপক এম এম আকাশ প্রমুখ।

সংহতি জানাতে এসে বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট আবুল মকসুদ বলেছেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি যৌক্তিক। এই দাবি পূরণে সরকার, মন্ত্রী ও সচিব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাহলে বাহানা কেন?

অন্যদিকে ননএমপিও শিক্ষকদের অপর একটি অংশ আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে এমপিও নীতিমালা শিথিল করে সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন এমপিও প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, অাগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সরকার চলমান সমস্যার সমাধান না হলে তারাও অান্দোলনে নামবেন। তবে কী ধরনের কর্মসূচি দিবেন তা এখনও জানা যায়নি। সম্প্রতি ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. এশারত আলী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু।

অা অা/ এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি