ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ

অনিঃশেষ অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:২৪, ৭ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১০:০৬, ৮ মার্চ ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

১৯৪৭ সালে স্বাধিকারের যে বীজ রোপিত হয়েছিল, তার সুষ্ঠু পরিস্ফূটনের তীব্র একটা আর্তনাদ তাড়া করে ফিরে ২৩ বছর ধরে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ছিল দীর্ঘ সময়ের অনিবার্য পরিণতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ কণ্ঠে ঘোষণার মাধ্যমেই সূচিত হলো স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন। এ দিন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) গ্রথিত হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ, যার পূর্ণতা পায় ২৬ মার্চ। আর রোপিত বীজের সফল অঙ্কুরোদগম হয় একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর।

আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছিল দেশ মাতৃকার স্বকীয় পরিচয় আদায় ও মুখ ফুটে কথা বলার অধিকার আদায়ের রাজনীতি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষরে অধিকার আদায়ের প্রতিভূ হয়ে উঠে আওয়ামী লীগ। বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে সামনে এগিয়ে চলে দলটি। দলের নেতাকর্মীরা মাটি ও মানুষের রাজনীতির মূর্ত প্রতীক হয়ে চষে বেড়ায় দেশের কেন্দ্র থেকে প্রান্ত, সীমানার প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায়। এর ফলে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত রায় মেলে সত্তরের নির্বাচনে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রেকর্ড গড়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী হয়। কিন্তু সে সময় জনপ্রিয় এই দলটিকে সরকার গঠন করতে দেয়া হয়নি। কারণ, গণমানুষের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন। নির্বাচনে বিজয়ী দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসতে না দেওয়ার মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে কোণঠাসা করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করা হয়। পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী এই দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিলম্ব করতে শুরু করে। প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল, যে কোনোভাবে ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানীদের হাতে কুক্ষিগত করে রাখা।

৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তার ঠিক দুদিন আগে ১ মার্চ ইয়াহিয়া খান আকস্মিক এক বেতার ভাষণে পূর্বনির্ধারিত সেই অধবিশেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেন। এই সংবাদে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারাদেশে একযোগে হরতাল পালিত হয়। তিনি ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পাকিস্তানী শাসন আর শোষণে জনমানবে অসন্তোষ ছিল চরমে। এর পর আবার নির্বাচনে জয়ের পরও ক্ষমতা হস্তান্তর করা হলো না। আবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশনও স্থগিত করা হলো। বাঙালি জাতির ক্ষোভ মাত্রা ছাড়িয়ে গেলো। চিরদিনের নিরীহ বাঙালি জাতি নীরব থাকতে পারলো না। খবর ছড়িয়ে পড়তে দেরি হয়, কিন্তু প্রতিবাদে উত্তাল হতে সময় নেয়নি সে সময়ের বাংলাদেশ। জাগ্রত জনতা ছিল অপ্রতিরোধ্য। পরিস্থিতি এতটাই উত্তাল আর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে, পাকিস্তানী সরকার ভয় পেয়ে যায়। সবধরণের সভা-সমাবেশে বাধা তৈরি করা হয়। পুলিশ ব্যাপকভাবে ধরপাকড় শুরু করে। গুলি করে, আহত করে প্রতিবাদকারীদের। এই কয়েক দিনে কয়েক হাজার বাঙালিকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রতিবাদ আরো তীব্রতর হয়। একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয় অব্যাহত নির্যাতন আর আন্দোলন কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার লক্ষ্যে। এই পটভূমিতেই ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বিপুল সংখ্যক লোক একত্রিত হয়। পুরো ময়দান পরিণত হয় এক জনসমুদ্রে। সার্বিকভাবে সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রদান করেন।

সারা দেশের লাখো জনতার উপস্থিতি দেখা গিয়েছিল সেদিনের রেসকোর্স ময়দানে। অধির আগ্রহে সবার অপেক্ষা, জনতার মঞ্চে কখন আসবেন কবি, রচিত হবে নতুন কবিতা। সেদিন এই উপস্থিত জনতা ছিল ক্ষুব্ধ, স্বাধীনতার ডাক শোনার আশায় উদ্দীপ্ত। আবার তারাই ছিল শান্ত-সংযতের মূর্ত প্রতীক। কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, তরুণী, বৃদ্ধা- সবারই কানখাড়া উপস্থিতি জানান দেয়, পাকসরকারের নির্লজ্জ জনপ্রিয়হীনতা। বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আসার সাথে সাথে কোনো ঘোষণার দরকার হয়নি পরিস্থিতি শান্ত করার। সবাই শান্ত হয়ে যায়। পুরো সমাবেশ স্থল জুড়ে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা।

বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তব্য শুরু করেন হৃদয়ের গভীর থেকে ভালবাসার সম্বোধন, ‘ভাইয়েরা আমার` বলে। মাত্র ১৮ মিনিটের বিপ্লব স্পন্দিত কণ্ঠের তীর্যক, তীক্ষ, যুক্তিপূর্ণ, দিকনির্দেশনাপূর্ণ ও সারগর্ভ ভাষণ। দেশের মানুষের মুক্তির প্রেরণায় সহজ সাবলীল উচ্চারণ। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে দেওয়া ভাষণে ফুটে উঠে বাঙালি জাতির স্বাধিকারের প্রতিধ্বনি। ‘...আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল: প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে, তা-ই নিয়ে শত্রুর মুকাবেলা করতে হবে। এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সব কিছু আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারবো। আমরা পানিতে মারবো। তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। কিন্তু আর আমার বুকের ওপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। সাত কোটি মানুষকে দাবায় রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দমাতে পারবা না।’ ‘... মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’

বাঙালি জাতির সারাজীবনের পাথেয় বজ্র কণ্ঠের এই ভাষণের প্রতিটি লাইন। এর প্রতিটি লাইনেই রয়েছে জাতীয় জীবনের জন্য নির্দেশনা। বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এ ভাষণ দিয়েছিলেন। সমাবেশে লাঠি, ফেস্টুন হাতে লাখ লাখ মানুষ উত্তপ্ত শ্লোগানে মুখরিত থাকলেও শেখ মুজিবের ভাষণের সময় সেখানে ছিল পিনপতন নিরবতা। ভাষণ শেষে স্বাধীনতা মুক্তিকামী বিক্ষুব্ধ মানুষের মুখে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘ আমার দেশ, তোমার দেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছিল ঢাকার রাস্তাগুলো। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু একদিকে স্বাধীনতার ঘোষণা যেমন দেন, অন্যদিকে তাকে যেন বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে অভিহিত করা না যায়, সেদিকেও তাঁর সতর্ক দৃষ্টি ছিল। তার এই সতর্ক কৌশলের কারণেই ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই জনসভার ওপর হামলা করার প্রস্তুতি নিলেও তা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ একটি নিরস্ত্র জাতিকে স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বলেছিলেন, ‘তোমার এত চিন্তার কারণ কী? সারাজীবন তুমি একটা লক্ষ্য নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছো, তোমার জীবনের যৌবন তুমি কারাগারে কাটিয়েছ, ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছ, তুমি যা বিশ্বাস করো, এই বিশ্বাস থেকে বক্তৃতা করবে।’ তিনি সারাজীবন যা বিশ্বাস করতেন, সেই বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই চমৎকার শব্দশৈলী, বাক্যবিন্যাস ও বাচনভঙ্গির ওই ভাষণ দিয়েছিলেন। ভাষণ নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে শেখ মুজিবকে ‘চতুর` হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘শেখ মুজিব কৌশলে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে গেলো, কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারলাম না।’

বিশ্বখ্যাত কয়েকটি ভাষণ ইতিহাসের পাতায় দেদীপ্যমান। ১৮৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪০ সালে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের ভাষণ বেশ স্মরণীয়। ইতিহাসের এই তালিকায় যুক্ত হয় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি। বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিল অলিখিত ও স্বতঃস্ফূর্ত। তিনি তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, সমসাময়িক পরিস্থিতির আলোকে উপস্থিত বুদ্ধিমত্তায় একান্তই আপন ও নিজস্ব বৈশিষ্ট্যণ্ডিত এই ভাষণ দেন।

র্সবকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনকের এই ভাষণটি সারা বিশ্বে অতীব তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঐতিহাসিক প্রামাণিক দলিল হিসেবে পরিচিত। গত ৩০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো এই ভাষণকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংস্থাটির ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রার’- এ অন্তর্ভূক্ত করে। বাঙালি জাতির জন্য এটি অনবদ্য এক অর্জন। এই ভাষণ সম্পর্কে ইউনেস্কো বলছে, ইউনেস্কোর বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ কার্যকর অর্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। এই ভাষণ গোটা বিশ্বের ঔপনিবেশিক উত্তর রাষ্ট্রসমূহের সর্বজনীন গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার ব্যর্থতার এক অকাট্য প্রামাণিক দলিল।

এ ভাষণ ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। যাতে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়গুলো উঠে আসে। যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের সংবিধানের চারটি মূলনীতি হিসাবে অভিষ্ঠ হয়। ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা বলেছেন। তিনি বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির কথা বলেছেন। তাঁর বক্তৃতায় বাঙালি জাতির উপর তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের করুণ নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। এই ভাষণে বাঙালি জাতির গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবি উঠে এসেছে। তিনি তাঁর বক্তব্যে একদিকে যেমন বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির দাবি জানিয়েছেন, অন্যদিকে অসহযোগ আন্দোলনে শ্রমজীবী গরিব মানুষের কথা উল্লেখ করেছেন। পরিষ্কারভাবে এই ভাষণে ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠায় হিন্দু, মুসলমান, বাঙালি, অবাঙালি সবার ভুমিকার বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে।

একথা অস্বীকার করার উপায় নেই, এ ভাষণ শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে নয়, পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে মুক্তিকামী জনগণের জন্য একটি অগ্নিগর্ভ প্রেরণা। এ বিশ্ব সম্পদ যে কোনো মানুষের হৃদয়কে উদ্বেলিত করে, উচ্ছ্বসিত করে, সংগ্রামী চেতনায় উজ্জীবিত করে। বিশ্বের ইতিহাসে অধিকবার উচ্চারিত এ ভাষণ সন্দেহাতীতভাবে কালজয়ী। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপবাদকে পাশ কাটিয়ে বাংলার প্রান্তিক জনগণকে আগ্নেয়গিরির গলিত লাভার মতো বিস্ফোরিত করার এমন নিখুঁত শব্দ চয়ন পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। যা বাঙালি জাতিকে উৎসাহিত করছে, প্রেরণা দিচ্ছে অবিরত।

লেখক: শিক্ষক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও
টিম সদস্য, আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি

এসি 

 


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি