অনুমোদিত এডিপিকে ইতিবাচক বলছেন অর্থনীতিবিদরা
প্রকাশিত : ২২:১৯, ১৭ মে ২০২৪
সামগ্রিকভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপিকে ইতিবাচক বলছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে এটি বাস্তবায়নে বিদেশী অর্থায়ন গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে অযৌক্তিক খরচ কমানোর তাগিদ দেন তারা। এছাড়া উন্নয়ন বরাদ্দ বাস্তবায়নে মান নিশ্চিতের ওপরও গুরুত্ব দেন অর্থনীতিবিদরা।
নতুন অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপি চূড়ান্ত করেছে সরকার। মূল এডিপি’র সঙ্গে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের প্রায় ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপিও অনুমোদিত হয়েছে।
এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে রেকর্ড ১ লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হবে।
এবারও পরিবহন অবকাঠামো সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোতে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। বরাদ্দের পরিমাণ ৭০ হাজার কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে প্রায় ৪০ হাজার ৭৫১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, শিক্ষা খাতে ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
শিক্ষা, আবাসন, স্বাস্থ্য,কৃষি এবং পরিবেশ জলবায়ু মোকাবেলার জন্য গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এডিপিতে।
সামগ্রিকভাবে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য অনুমোদনকৃত এডিপিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অর্থনীতি এগিয়ে যাবে বলছেন তারা।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “সামগ্রিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাজেটের সাইজকে সংযত করা হয়েছে। এবছর এডিপিও ছোট আকারের করা হয়েছে। টাকার অংকে প্রবৃদ্ধি খুবই দুর্বল এবং এবছর বাজেটে এডিপির সাইজ গত বছর বাজাটের এডিপির সাইজের চেয়ে অনেক কম।”
তবে বরাদ্দ বাস্তবায়নে কেবল ভবন নয় প্রয়োজন মানের উন্নয়ন।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “শুধু টাকা ডাললেই শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো হয়ে যাবে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভালো হবে- তা কিন্তু নয়। এখানে গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।”
অর্থনীতি কঠিন চ্যালেঞ্জে রয়েছে তাই, এডিপিতে বিদেশী সহায়তা টাকার মানকে শক্তিশালী করতে তথা মূল্যস্ফীতি কমাতে ভূমিকা রাখবে বলেও আশা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
এএইচ
আরও পড়ুন