ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

অপেক্ষায় জায়েদ-নিপুণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৭, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। বিশেষ করে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জায়েদ-নিপুণ দ্বন্দ্ব এখন চরমে। যে দ্বন্দ্ব এফডিসি থেকে চলে গিয়েছে আদালত প্রাঙ্গনে। যদিও তাদের এই দ্বন্দ্ব শুধু আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, আদালতের বাইরেও অন্য রকম এক লড়াইয়ে জড়িয়েছেন দুজন। তারপরেও আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতেই হবে। কারণ সেখানই চূড়ান্ত হবে কে পাবে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার!

জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত প্রশ্নে রুলের শুনানি হবে ২২ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)।

আবেদনটি শুনানির জন্য বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চের মঙ্গলবারের তালিকায় ৩৬ নাম্বারে রয়েছে।

এর আগে নিপুণের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এই তারিখ ধার্য করেছিলেন।

গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন প্রাথমিক ফলাফলে জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ। আপিল বোর্ড সমাজসেবা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তর এক চিঠিতে জানায়, আপিল বোর্ড এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ড জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে।

এ অবস্থায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের ২ ফেব্রুয়ারির চিঠি ও আপিল বোর্ডের ৫ ফেব্রুয়ারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন জায়েদ খান। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলে ২ ফেব্রুয়ারির চিঠি ও ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

একই সঙ্গে হাইকোর্ট ২ ফেব্রুয়ারির চিঠির কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। পাশাপাশি ২ ও ৫ ফেব্রুয়ারির চিঠি ও সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আর রুল শুনানির জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টে আদেশের বিরুদ্ধে নিপুণের করা আবেদনের ওপর ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানি হয়। সেদিন চেম্বার বিচারপতি আদেশ দেন। চেম্বার বিচারপতির আদেশে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে নিপুণের আবেদন ১৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।

একই সঙ্গে শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে ওই সময়ে দুই পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই আদেশ চলমান থাকবে উল্লেখ করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ নিপুণের আবেদন নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।

নিপুণের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে ১৪ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেন আপিল বিভাগ। ঘোষিত আদেশে আপিল বিভাগ বলেন, দুই পক্ষ (জায়েদ ও নিপুণ) উপস্থাপন করেছে যে হাইকোর্টে বিষয়টি (রুল শুনানি) ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এ অবস্থায় আবেদনটি (নিপুণের করা) নিষ্পত্তি করা হলো। চেম্বার বিচারপতি যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা চলমান থাকবে।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি