অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমে আশাবাদী অর্থনীতিবিদরা
প্রকাশিত : ১১:৩৬, ১৩ জুলাই ২০২৪
অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা আসবে বলে আশা শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদদের। ডলার ও রিজার্ভ সংকট মোকাবেলায় এটি যথেষ্ট কাজে দেবে বলেও প্রত্যাশা তাদের। তবে তারা জানান, এখন পর্যন্ত এ কার্যক্রমে সাড়া খুব বেশি নয়।
বাংলাদেশে ১৯৮৫ সালে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন এবং পরে ২০১৯ সালে অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে কেন্দ্রিয় ব্যাংক। আর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অফশোর ব্যাংকিং আইন-২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ৪৩টি ব্যাংককে অফশোর ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।
আইন অনুযায়ী লাইসেন্স পাওয়া ব্যাংকগুলো অনিবাসী বাংলাদেশি এবং প্রাতিষ্ঠানের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় আমানত সংগ্রহ ও ঋণ দিতে পারবে। আর এ লেনদেনে যে সুদ আসবে তার ওপর কোন কর আরোপ হবে না। এখন পর্যন্ত কতো ডলার এভাবে দেশে এসেছে তার তথ্য জানাতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে ব্যাংকাররা আশা করছেন, বছর শেষে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা আসবে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী বলেন, “আমার ব্যাংক এখনও হয়তো অফসোর ব্যাংকিং অতো বড় আকারে করতে পারেনি। তবে যে পরিকল্পনা আছে তাতে আগামী ছয় মাসে খুব ভালো একটা চিত্র দেখতে পাবো।”
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মাত্র শুরু হওয়ায় এখনও হয়তো খুব বেশি সাড়া পড়েনি। তবে রিজার্ভ সংকট মোকাবেলা, এলসি খোলার সমস্যা সমাধানসহ বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে অফশোর ব্যাংকিং ভালো একটি মাধ্যম হবে।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, “আমানত সংগ্রহ এবং ঋণ বিতরণে ফরেন কারেন্সিটার হিসাবটা যিদি রিজার্ভে যায়, যেটা হওয়ার কথা সেটা হচ্ছেও। সঠিক সময়ে সরকার এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছে।”
মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানি ইয়েন ও চীনা ইউয়ানে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে অফশোর ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন পাওয়া বাংলাদেশি ব্যাংকগুলো।
এএইচ
আরও পড়ুন