অফিস সহকারীর সঙ্গে ডিসি`র অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁস

নিজ অফিসের এক নারীকর্মীর সঙ্গে জামালপুরের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) একটি অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ভিডিওতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের ওই নারী সহকারীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। যা রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এ ঘটনায় জামালপুরের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এবং এর বিচার দাবি উঠছে। তবে বিষয়টিকে অস্বীকার করে সাজানো নাটক দাবি করেছেন অভিযুক্ত জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ওই ভিডিওটি গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং জেলা প্রশাসকের এমন কর্মকাণ্ডে শুক্রবার সকাল থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

যদিও পরে ওই আইডিতে ভিডিওটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এর আগেই ফেসবুক মেসেঞ্জারে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ।

চার মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি মূলত একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ৩ আগস্ট জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরকে তার কার্যালয়ের এক নারী অফিস সহকারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় ভিডিওটিতে। যদিও ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে এ কেলেঙ্কারির বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে জামালপুর সার্কিট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত। আপনারা আমাকে একটু সময় দেবেন। প্রকৃত ঘটনা জানতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’

আপত্তিকর ওই ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা একটা সাজানো ভিডিও। একটা হ্যাকার গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছিল। আমি বিষয়টি গুরুত্ব দেইনি। বানোয়াট ভিডিওটি একটি ফেক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়।’

বিষয়টাকে সাজানো নাটক দাবি করলেও ভিডিওটিতে যে কক্ষটি দেখা যায়, সেটা তার অফিসের বিশ্রাম নেয়ার কক্ষ এবং ভিডিওর ওই নারী তার কার্যালয়ে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত বলে নিশ্চিত করেন ডিসি। তবে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য অনুরোধ করেন ওই জেলা প্রশাসক।

এনএস/