অবশেষে ফাহমিদুলকে বাদ দেওয়ার কারণ উদঘাটন!
প্রকাশিত : ১৪:৪৩, ২০ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলে জায়গা পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলাম। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে তার নাম প্রাথমিক স্কোয়াডেও ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার সিদ্ধান্তে দল থেকে বাদ পড়েছেন এই প্রতিভাবান লেফট উইঙ্গার।
ফাহমিদুলকে বাদ দেওয়ায় দেশের ফুটবল অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। ফাহমিদুলকে না আনার কারণ হিসেবে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বলেছেন সে মেধাবী খেলোয়াড় তবে আরো কিছু সময় প্রয়োজন। তবে, তা মানতে নারাজ ফুটবল সমর্থকরা। এদিকে ফুটবলাররাও মুখে কুলুপ আঁটা। কেউ মুখ খুলতে চাননি। তবে, একটি জাতীয় দৈনিক অনুসন্ধান চালিয়ে বের করে এনেছেন ভয়ংকর তথ্য। সংবাদপত্রটি এক প্রতিবেদনে বলছে, এক ফুটবলার নাম প্রকাশ না করার শর্তে
জানিয়েছেন ফাহমিদুলকে বাদ দেওয়ার কারণ। আর তাতেই বের হয়ে আসে ভয়ংকর তথ্য।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি আরবে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর ফাহমিদুলের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি ছিলেন কাবরেরা। তিনি বলেছিলেন, "ফাহমিদুল লাল-সবুজের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠবে।" অনুশীলনেও তিনি নজর কাড়েন। কিন্তু হঠাৎ করেই বদলে যায় পরিস্থিতি। দলে তার প্রতি অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। সতীর্থরা তাকে বল দিচ্ছিলেন না, গোলকিপার শ্রাবণও কয়েকবার ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে পাশ কাটিয়ে যান বলে জানা গেছে।
এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে কোচের কাছে অভিযোগ করেন ফাহমিদুল। কিন্তু কাবরেরা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো রেগে যান। এরপরই আসে দুঃসংবাদ—ফাহমিদুলকে স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন কোচের নিরপেক্ষতা নিয়ে।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর মতিঝিল মেট্রো স্টেশনের নিচে এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের সামনে ক্ষুব্ধ সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি একটাই—ফাহমিদুলকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বুধবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় দলের সংবাদ সম্মেলনের সময় বাইরে চলতে থাকে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের শান্ত করতে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল আলোচনায় বসেন, কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।
এমবি//