ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

অবাধ অ্যান্টিবায়োটিক ডেকে আনছে বড় বিপদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৩, ২৩ নভেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া। অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স পূরণ না করা বা ছোটখাটো শারীরিক সমস্যার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা শরীরের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনছে।

অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবশেষ গবেষণায় উঠে আসে, অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল এবং অসচেতন ব্যবহারের কারণে এ জাতীয় ওষুধ কার্যকারিতা হারাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, যখন-তখন ইচ্ছেমতো ওষুধ সেবনে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বা ‘অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ (এএমআর) তৈরি হতে পারে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, এখনই সতর্ক না হলে কয়েক বছরের মধ্যেই এমন সময় আসবে, যখন বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক কাজই করবে না কারও শরীরে। তার বিকল্প ওষুধ বার করা যাবে কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। যার অর্থ, বেশ কিছু রোগের চিকিৎসা করা আর সম্ভব হয়ে উঠবে না।

এই পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে নানা রকম ব্যবস্থা করছে বিশেষজ্ঞরা। তেমনই একটি পদক্ষেপ হিসেবে ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব সায়েন্স মিউজিয়ম’ এবং ‘সায়েন্স মিউজিয়ম গ্রুপ, লন্ডন’ যৌথ উদ্যোগে একটি প্রদর্শনীর পরিকল্পনা করেছে এই বিষয়ে। ইতোমধ্যেই লন্ডনে দেখানো হয়েছে সেই ‘সুপারবাগস্‌: দ্য ফাইট ফর আওয়ার লাইভস্‌’ নামে সেই প্রদর্শনী।

বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন স্তরে সচেতনতা প্রয়োজন। কড়়া হওয়া দরকার সরকারেরও, যাতে যে কোনও ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ভারতের হৃদ্‌রোগ চিকিৎসক তাপস রায়চৌধুরী বলেন, ‘কিছু বড় হাসপাতাল ছাড়া বেশির ভাগ জায়গাতেই সচেতনতার খুব অভাব। যেমন ইচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় অধিকাংশ জায়গায়। তার জেরেই সঙ্কট আরও গুরুতর হচ্ছে।’তার মতে, হাসপাতাল এবং চিকিৎসকেরা সচেতন না হলে আগামী দিনে চিন্তার কারণ আরও বাড়বে।

তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার

এমএইচ/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি