অভিনেত্রী শমী কায়সারের জামিন স্থগিত
প্রকাশিত : ১৭:৫৬, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় জুলাই–আগস্টের ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ অভিনেত্রী শমী কায়সারকে ৩ মাসের জামিন দেন।
এ মামলায় রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার সংগীতভিত্তিক টিভি চ্যানেল গানবাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপস ও ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠান আদালত।
গত ৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরার ৪নং সেক্টরের ৬নং রোডের ৫৩নং বাসা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪নং সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। এসময় ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় কৌশিক হোসেন তাপস ৯ নম্বর ও শমী কায়সার ২৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।
নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার এবং ঔপন্যাসিক ও সাবেক এমপি পান্না কায়সারের সন্তান। শমী কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের দমনপীড়ন চলাকালে সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তুমুল সমালোচিত হন।
এএইচ