ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অভিনয়ের জন্য বাড়ি থেকে পালিয়েছিলাম: তানিন সুবহা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৩, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২২:২৬, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

তানিন সুবহা এ প্রজন্মের আলোচিত নায়িকা। বিজ্ঞাপনে কাজ করার মধ্য দিয়েই মিডিয়ায় পথ চলা শুরু করেন। কাজ করেছেন অসংখ্যা টিভি নাটকে। বর্তমানে কাজ করছেন চলচ্চিত্রে। ‘অবাস্তব ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। এরপর একের পর এক সিনেমায় কাজ করেছেন। আগামী ৫ জানুয়ারী মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনিত চলচ্চিত্র ‘দেমাগ’। এর কয়েকদিন পরই মুক্তি পাবে তার আরেকটি চলচ্চিত্র ‘ভালো থেকো’। জীবনের সব কিছুর চেয়ে অভিনয়কেই ধ্যানজ্ঞান মনে করেন তানিন সুবহা। সমসাময়িক কাজ, নিজের ভালো লাগা, অপছন্দ এসব নিয়ে কথা হয় ইটিভি অনলাইনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আউয়াল চৌধুরী।    

ইটিভি অনলাইন: ছোটবেলা কোথায় কাটিয়েছেন? কেমন ছিল সেই দিনগুলো?  

তানিন সুবহা:  ছোট বেলার দিনগুলোতো অনেক মজার। আমি ৯ বছর সৌদি আরবে ছিলাম। আমার বাবা সৌদি থাকতেন সেই সুবাদে আমার ভাই বোনসহ পুরো পরিবার সেখানে থাকতাম। সৌদিতে পড়ালেখার ক্ষেত্রে  কিছু সমস্যা হতো তাই পরে আমরা দেশে চলে আসি। সৌদি আরবে থাকাকালীন বেশিরভাগ সময় আমি ক্লোজআপ ওয়ান দেখতাম। তখন থেকেই মিডিয়ার প্রতি আগ্রহটা অনেক বেড়ে যায়। সৌদি থেকে ফেরার দু’তিন বছরের মধ্যেই মিডিয়াতে কাজ শুরু করি। তাছাড়া ছোট বেলা থেকেই আমি গান গাইতাম। আমার আম্মুও অনেক ভালো গান গাইতে পারে। আমাদের মূল বাড়ী হলো মাদারীপুর। পরে বরিশালের গৌরনদীতে আমরা বাড়ী করি। সেখানে গানের অনেক একাডেমি আছে। সেখান থেকে আর আমার আম্মুর কাছ থেকে শুনে শুনেও গান শিখি। আমার বান্ধবিরা বলতো তোর জন্য এমন পরিবেশ মানানসই হচ্ছে না। দেশের বাহিরে থেকে আসার পরে বাংলাদেশের যা অবস্থা এই পরিবেশে খাপ খাওয়ানো আমার জন্য অনেক কঠিক হয়ে যায়। এরপরও খাপখাওয়ানোর চেষ্টা করি।    

ইটিভি অনলাইন: বাংলাদেশে আসার পর কিভাবে মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হলেন?

তানিন সুবহা:  আমি ২০০২ সালে মিডিয়াতে কাজ শুরু করি। আমার কিছু বন্ধুর উৎসাহে ক্লোজআপ ওয়ানের মাধ্যমে পুরোপুরি এই দিকে আসা। তার আগেও একবার বাংলাভিশনের ‘নাচো বাংলাদেশ নাচো’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু সেটাতে বেশি দূর এগুতে পারিনি। ঐ সময় ক্লোজআপ ওয়ানের জন্য আমি বরিশাল থেকে ঢাকায় আসি। বেশ কিছু রাউন্ড পার হই। পরে দেখা যায় অনেক বেশি সিঙ্গার থাকায় এক সময় বাদ পড়ে যাই। ঐ সময় এনটিভির সেজান মাহমুদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তিনি আমাকে অনেক উৎসাহ দিলেন এবং বললেন পরবর্তী বছরের জন্য চেষ্টা কর। হতাশ হবে না। এরপর আমি বরিশালে চলে আসি।

ইটিভি অনলাইন: চলে গেলেন গ্রামে। কিন্তু আবার ফিরলেন কিভাবে?

তানিন সুবহা:  আমার জন্য ঢাকায় ফেরাটা একটু কঠিন ছিল। তাই ফেসবুকের আশ্রয় নিলাম। ফেসবুক এর মাধ্যমে ডিরেক্টর নারায়ন চন্দ্র দাস এর সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে। তিনি একজন বিজ্ঞাপন নির্মাতা। তার নিজের একটা বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানও আছে। তিনি আমাকে অনেক উৎসাহ দিয়ে বললেন, ‘ক্লোজআপ থেকে বাদ পড়েছেতো কি হয়েছে, আবার চেষ্টা কর। অন্য কিছু শুরু কর।’ তারপর একদিন বাসায় না জানিয়েই আমি দাদার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় চলে আসি। এদিকে বাসায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে যায়। সবাই আমাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। আমি সাভারে আমার এক আন্টির বাসায় গিয়ে উঠি। সেখান থেকে নারায়নদার সঙ্গে দেখা করি। তারপর দাদা ফটোশুটের জন্য আমাকে আশিষ সেন গুপ্ত এর কাছে নিয়ে গেলেন। তিনি আমার ছবিগুলো বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতে লাগলেন। কিছু বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে দিলেন। এরপর আমার ছবি দেখে প্রিন্স গ্রুপের বিজ্ঞাপনের জন্য তারা সিলেকশন করলো। তাদের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে আমি প্রথম অভিনয় করি। এখনো প্রিন্স প্লাজায় আমার টিভিসিটি চলছে। তারপর দাদার মাধ্যমে আরো কিছু মডেলিং এর কাজ করি। চট্টগ্রামের ফ্রেঞ্চফুডের মডেল হয়ে কাজ করি। টিভিসিতে কাজ করার সময় হঠাৎ দাদা অসুস্থ হয়ে পড়েন। যার মাধ্যমে আমি ঢাকায় আসলাম তিনি অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় আবার বরিশালে ফিরে যাই।

ইটিভি অনলাইন: পরের যাত্রাটা কিভাবে শুরু করলেন? প্রথম নাটকে অভিনয়ের শুরুটাই বা কিভাবে ঘটলো?

তানিন সুবহা:  ঢাকা থেকে যাওয়ার পর আজাদ আবুল কালাম ভাইয়ের সঙ্গে আমার আবার ফেসবুকে পরিচয় হয়। ঐ সময় মিডিয়ায় আরো কিছু মানুষের সঙ্গে টুক টাক কথা হতে থাকে। তখন কালাম ভাইয়ের ঈদের একটা নাটক ‘জমজ’ নিয়ে কথা হয়। তিনি আমাকে চলে আসতে বললেন। আমি তখন দেরি না করে আমার এক কাজিনকে নিয়ে সরাসরি মানিক গঞ্জে চলে আসি। এই নাটকে মোশারফ করিম কাজ করছেন। এতবড় একজন অভিনেতার সঙ্গে কাজ করবো আমার খুব টেনশন হচ্ছিল। আবার মোশারফ ভাই আমাদের আত্বীয়ও হন। বেয়াই হয়। তার সঙ্গে এর আগে দেখা হলেও অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি। জমজ নাটক দিয়েই আমার  শুরু। তারপর একের পর এক নাটকে কাজ করতে থাকি। কাজের ব্যস্ততাও বাড়তে থাকে। এরপর ঢাকাতেই থেকে গেলাম। আমার মা তখন  বাবাকে বলে ও ঢাকা একা একাই থাকে। মানুষ এটাকে খারাপভাবে দেখবে। যেহেতু তাকে মিডিয়া থেকে বের করা যাচ্ছে না। বার বার বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। আমরা ঢাকা চলে যাই। এরপর সবাই ঢাকায় চলে আসে।  

ইটিভি অনলাইন:  চলচ্চিত্রে কিভাবে কাজ শুরু করলেন?   

তানিন সুবহা:  একদিন হঠাৎ করেই মুশফিকুর রহমান গুলজার ভাই তার একটা টেলিফিল্মে কাজ করার জন্য আমাকে ডাকলেন। তিনি সেখানে বসে আমার ব্রেন ওয়াশ করলেন। বললেন তোমার এটিচিউড কথা-বার্তা নাটকের সঙ্গে যায় না। তুমি একটা কাজ কর, আমার এক ছোট ভাই সায়মন তারিক সিনেমার ডিরেক্টর। আমি বলে দেব তার সঙ্গে দেখা কর। সায়মন ভাই তখন তার ছবির প্রি প্রোডাকশনের কাজ করছিলেন। ঐ সময় পরিচালক কাজল কুমার বর্ধণও তার ছবি ‘অবাস্তব ভালোবাসার’ জন্য আর্টিস্ট খুঁজছিলেন। এ সময় সায়মন ভাই আমাকে পাঠিয়ে দিলেন কাজলদার কাছে। ‘অবাস্তব ভালোবাসা’ আমার প্রথম ছবি। আমার বিপরীতে ছিল জয় চৌধুরী। এই ছবি এখনো রিলিজ না হলেও সেন্সর হয়ে গেছে, সামনে রিলিজ হবে। এরপর সায়মন তারিকের ‘মাটির পরী’ সিনেমাতে কাজ করি। এ ছবিতে আমার বিপরিতে ছিল সায়মন সাদিক। সেই ছবি ২০১৫ সালের ১৫ই জানুয়ারী মুক্তি পায়। তারপর একের পর এক আমার সিনেমার সংখ্যা বাড়তে থাকে। এক সঙ্গে নাটক সিনেমা মিউজিক ভিডিও করতে থাকি। ইতিমধ্যে আরো অনেকগুলো ছবির কাজ আমার শেষ হয়েছে। এসব কাজে অনেকে আমাকে সহযোগিতা করছেন।

ইটিভি অনলাইন:  কোন কোন সিনেমাতে এখন কাজ করছেন?  

তানিন সুবহা:  বর্তমানে মুকুল নেত্রবাদী পরিচালিত আমার অভিনীত ছবি ‘দেমাগ’ মুক্তি পাচ্ছে ৫ জানুয়ারী। তারপর মুক্তি পাবে জাকির হোসেন রাজুর ‘ভালো থেকো’। এছাড়া জাবেদ-জাহিদের ছবি দুই রাজকন্যার কাজ শেষ করেছি। মুকুল নেত্রবাদীর আরেকটি ছবিতে কাজ করছি ‘রাজা রানির  গল্প’, মিজানুর রহমান শামিমের ‘দূর্গা দেবি’ তার অন্য আরেকটি ছবি ‘বীর বাঙালী’, ইমদাদুল হক খানের ‘মন নিয়ে লুকোচুরি’ এভাবে আরো অনেকগুলো ছবিতে কাজ করছি।  

ইটিভি অনলাইন:  অনেকগুলো ছবিতে কাজ করেছেন। শ্যুটিং এর অভিজ্ঞতা কেমন?  

তানিন সুবহা:  আসলে শ্যুটিং এর অভিজ্ঞতা একটু অন্যরকম। আমি যখন ‘মাটির পরী’ ছবিতে কাজ করি তখন সবার প্রতি মায়া হয়ে যায়। যখন যে ছবিতে কাজ করেছি, যাদের সঙ্গে কাজ করেছি, সেটা ছোট ইউনিট হোক আর বড় হোক আমার মায়া জন্মে যায়। কক্সবাজারে ‘মাটির পরী’ ছবিতে আমার শ্যুটিং যখন শেষ হয় তখন আমি জোরে জোরে চিৎকার করে কাঁদতে ছিলাম। কেন এত তাড়াতাড়ি শ্যুটিং শেষ হয়ে গেল। তাদের সঙ্গে কি আমার আর দেখা হবে না। ক্যামেরা ম্যান সুলতান ভাইকে আমি আমার আপন ভাইয়ের মতো মনে করি। সুলতান ভাই সব সময় আমাকে সহযোগিতা করে। তাকে জড়িয়ে ধরে আমি কাঁদতে ছিলাম। বললাম, ভাইয়া আপনার সঙ্গে কি আমার এই ছবিই শেষ। কিন্তু পরবর্তীতে দুই রাজকন্যা ছবিতেও তিনি ডিওপি ছিলেন। এফডিসিতে কাজ শেষ করে ক্যামেরা ক্লোজ হলে আবারও কাঁদতে ছিলাম। তখন সে বলে তোর কান্না যেন আর কখনো বন্ধ না হয়। তোর কান্নার কারণে দেখা যায় পরের ছবিতেও আমি থাকি। সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে প্রত্যেকের সঙ্গে আমার পরিবারের মতো সম্পর্ক হয়ে যায়। সবাইকে আমি খুব সহজে আপন করে নেই।

ইটিভি অনলাইন:  সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে মজার কোনো অভিজ্ঞতা কি আছে?

তানিন সুবহা:  একটা মজার অভিজ্ঞতার কথা বলতে পারি। আমি ছোট বেলা থেকেই গাছে উঠা পছন্দ করতাম। বান্দরবানে গেলাম আমরা ‘অবাস্তব ভালোবাসা’ ছবির কাজ করতে। শ্যুটিং শুরু হলো। শট নেওয়ার জন্য সবাই রেডি। দেখা যায় স্পটে আমি নেই। সবাই খোঁজাখুজি শুরু করে দিল। এদিকে বান্দরবানে অনেক কলা গাছ। গাছে পাকা কলা ঝুলছে। আমি একটা গাছের নিচে গিয়ে কলা গাছের পাতা ধরে দিলাম টান। পুরো গাছ এসে তখন আমার শরীরের ওপর আছড়ে এসে পড়লো। আমি আর উঠতে পারি না। গাছের নিচে পড়ে থেকে জোরে জোরে চিৎকার করতেছি। কিন্তু কেউ আমার আওয়াজ শুনতে পায়না। এ সময় প্রোডাকশন ম্যানেজার আমাকে খুঁজতে বের হন। তিনি এমন অবস্থায় আমাকে দেখে তাড়াতাড়ি গাছ সরিয়ে উদ্ধার করেন। এরপর গাছ ভাঙ্গার জরিমানা দিয়ে তিনি  আমাকে নিয়ে আসেন।   

এছাড়া আরেকটা অভিজ্ঞতা হলো জাকির হোসেন রাজু স্যারের ‘ভালো থেকো’ ছবিতে একটানা ২২ দিন বউ এর বেশে বসে ছিলাম। সবাই অবাক হয়ে বলতো এটা কিভাবে সম্ভব। আমি রোজ একই বেশে মন্ডপের মধ্যে বসে থাকতাম।     

ইটিভি অনলাইন:  বিয়ে নিয়ে কি ভাবছেন? আছে কেউ?   

তানিন সুবহা:  আমার রক্তের মধ্যে ফিল্ম ঢুকে আছে। অন্য কোনো কিছু চিন্তাই করতে পারি না। আমার কাছে সবার আগে হলো অভিনয়। অনেক সময় রাগ করে বলি আর অভিনয় করবো না। অনেকে অনেক কথা বলে। সে জন্য মাঝে মাঝে মনে হয় অভিনয় ছেড়ে দেই। কিন্তু ২ থেকে ৩ দিন গেলেই আর থাকতে পারি না। কোনো পরিচালক বা শুভাকাঙী ফোন দিলে তখন আর মাথায় কোনো কিছু কাজ করেনা। মূলত সবকিছু ছাড়তে পারবো কিন্তু চলচ্চিত্র ছাড়তে পারবো না। অভিনয় ছাড়া বাঁচতে পারবো না।  

আর বিয়ের ব্যাপারে একটা মজার কথা বলি, কিছু দিন আগে আমাদের বাসায় একটা বিয়ের প্রস্তাব আসে। তারা বলে আমি যা চাই সবই দেবে। শুধু আামাকে সিনেমাটা ছেড়ে দিতে হবে। তখন আমি বলি লাইট ক্যামেরা একশন ছাড়া আমার কাছে আর কোনো কিছুই সম্ভব না। তখন ছেলে বলে, আমরা ক্যামেরা কিনবো, বাবা ক্যামেরা চালাবে, সেখানে লাইট থাকবে সবই থাকবে, তুমি শুধু হ্যাঁ বল।    

ইটিভি অনলাইন:  সিনেমায় অনেক মজার অভিজ্ঞতার কথা বললেন, তিক্ত কোনো অভিজ্ঞতাও কি আছে?  

তানিন সুবহা:  আমার মিডিয়াতে আসা কিন্তু পরিবারের জন্য না, একান্তই নিজের শখের বসে। এই শখ পূরণ করতে এসে অনেক কষ্ট পেয়েছি। শুরুতে আমি নাটকে লিড কাস্টিং পেলেও ফিল্মে কিন্তু লিড কাস্টিং এ ছিলাম না। সেকেন্ড হিরোইন এর কাস্টিং এ ছিলাম। একটা ছবিতে প্রডিউসার ছিলেন একজন মহিলা। তিনি আামকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। আমি যখন মেকআপ নিতাম তিনি মেকআপ ম্যানকে আগেই বলে দিতেন আমার মেকআপটা যেন খারাপ করে দেওয়া হয়। যাতে আমাকে দেখতে তত ভালো না লাগে। আর ওনাকে যেন দেখতে বেশি ভালো লাগে, তিনি সব সময় সেটাই করতেন। পরে মেকআপ ম্যান আামকে সবকিছু বলে। তিনি সব সময় আমার পেছনে লেগে থাকতেন। কিন্তু কখনো আমি তাকে কিছু বলতাম না। এখনও সেই মেকআপ ম্যান আমাকে মেকআপ দিচ্ছেন। সেই প্রডিওসার কিন্তু নেই। তিনি আমাকে খুব জেলাস করতেন। আমাকে সহ্যই করতে পারতেন না। একপর্যায়ে দেখা গেল সে আমার গায়ে হাতই তুলে বসে। তবু আমি কিছুই বলিনি। আমি শুধু তাকিয়েই ছিলাম। আমি থিয়েটারের স্বাধীন নাট্য দলে, অঙ্গীকার নাট্যদলে কাজ করেছি। সে আমাকে কেন এত জেলাস করবে। অনেক সময় দেখি ছেলেরাও আমাকে জেলাসি করে, মেয়েরাও। আমি সবার সঙ্গে ফ্রেন্ডলি চলার চেষ্টা করি। যারা এক্সট্রা  আটিস্ট তাদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করি। কাউকে কখনো কষ্ট দেই না।

 

এসি/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি