অর্থনীতিবিনাসী কর্মসূচি থেকে সরে আসার আহ্বান (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৯, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
বৈশ্বিক নানা অস্থিরতা সত্ত্বেও গতিশীল দেশের রপ্তানি-বাণিজ্য। এমন বাস্তবতায় হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি দেশের জন্য কল্যাণকর নয় বলছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। রপ্তানি ও মানুষের জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কর্মসূচির বিপক্ষে তারা। অর্থনীতিবিনাসী রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে এখনই সরে আসার পরার্মশ তাদের।
বৈশ্বিক অস্থিরতা সত্ত্বেও এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। গতিশীল আছে রপ্তানি বাণিজ্য। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে দেশ থেকে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৩৬৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি।
এদিকে, আইএমএফ বলছে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ১৬তম দ্রুত অর্থনৈতিকবর্ধনশীল দেশ। এমন ইতিবাচক পরিস্থিতিতে বিরোধী দলগুলো আবারও অর্থনীতিবিনাসী হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে। ব্যবসায়ীরা নেতারা বলছেন, এসব কর্মসূচির কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিদেশি ক্রেতারা ভুল বার্তা পেতে পারে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “ইতিমধ্যে তারা অর্ডার মুভ করার চিন্তা করছে। সেই কারণে বলবো, এই ধরনের রাজনৈতিক পরিবেশ আমাদের অর্থনীতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাবে।”
বিশৃঙ্খলা চান না অর্থনীতিবিদরাও। তারা বলছেন, স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ অর্থনীতি ও জীবন-জীবিকার জন্য জরুরি।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “আমাদের অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এই রাজনৈতিক অস্থিরতা একেবারেই কাম্য নয়। রাজনীতিবিদরা দেশ চালাবেন সেটা তো অবশ্যই আমরা সবাই মেনে নেই। কিন্তু তারা যদি নিজেদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে আলোচনা মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারা চালু না রাখতে পারে সেই ব্যর্থতার জন্য তারাই দায়বদ্ধ।”
রাজনৈতিক সব পক্ষকে দেশের অর্থনীতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “রাস্তায় তো সমাধান হওয়া উচিত নয়। সে সমাধান তো কাম্য নয়। সমাধান হবে আলোচনায়, সমাধান হবে পার্লামেন্টে, সমাধান হবে নীতির ভিত্তিতে। এমনতেই সাধারণ মানুষের অবস্থা খারাপ, অনেক কষ্টে আছে। মূল্যস্ফীতির চাপে আছে, পণ্যমূল্য ধরাছোয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে।”
ফারুক হাসান বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতির জন্য গ্লোবাল ডিমান্ড কমে গেছে। এর সাথে হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধের ফলে আরও একটি ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে।”
গত সেপ্টেম্বরে পণ্য রপ্তানি থেকে দেশ আয় করেছে ৪৬৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ বেশি। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে রপ্তানি আয় আরও বাড়বে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ
আরও পড়ুন