অর্থবছরের শেষ সময়ে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি

আগের অর্থবছরের তুলনায় গেল অর্থবছর সার্বিক মূল্যস্ফীতি তুলনামুলক কমলেও শেষ প্রান্তিকে অর্থনীতির এ সূচকটি ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে। আগাম বন্যায় চালের দাম বৃদ্ধি এবং বাজেটকে এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সার্বিক গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। তার আগের অর্থবছর তা ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ ছিল।

তবে অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) এসে মূল্যস্ফীতি বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে।ওই তিন মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ ছিল।

৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অর্থ হল, ২০১৬ সালের জুনের শেষে যে পণ্য বা সেবার জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হত, ২০১৭ সালের জুনের শেষে এসে তার জন্য ১০৫ টাকা ৪৪ পয়সা খরচ করতে হচ্ছে।

গত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০১৭) মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০১৬) ৫ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৬) ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ ছিল।

মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভার পর এক সংবাদ সম্মেলনে মূল্যস্ফীতির তথ্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “দেশে আগাম বন্যার ফলে চালের দাম বেড়ে যাওয়া মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রধান কারণ। এছাড়া গতমাসে বাজেট ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। এ বিষয়টিও মূল্যস্ফীতিতে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত অর্থবছরের ১২ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে খাদ্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, যা আগের অর্থবছর ছিল ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ ছিল।

আর খাদ্য বর্হিভূত পণ্যে এক বছরে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ, যা তার আগের অর্থবছর ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ ছিল।

সব মিলে গত অর্থবছরের বার মাসের সার্বিক গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

গতবছর জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল। অর্থবছর শেষে দেখা যাচ্ছে, সেই চেষ্টায় সফল হয়েছে সরকার। 

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে রাখার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

ডব্লিউএন