ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

“অসাধু উৎপাদকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে”

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪৬, ২২ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৫২, ২২ মে ২০১৭

শুধু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নয়, নকল ও ভেজাল প্রতিরোধে অসাধু উৎপাদকদের বিরুদ্ধে সবার আগে ব্যবস্থা নিতে বিএসটিআই’র কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। রবিবার বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০১৭ উপলক্ষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত ‘পরিমাপ পরিবহনের নিয়ন্ত্রক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, নকল ও ভেজাল প্রতিরোধ করতে হলে, যেসব কারখানায় নকল ও ভেজাল পণ্য উৎপাদন হয়, সেখানেই প্রথমে অভিযান চালাতে হবে। এ লক্ষ্যে তিনি বিএসটিআইতে কর্মরত সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক মো. সাইফুল হাসিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া এনডিসি বক্তব্য রাখেন এবং  বিএসটিআই’র পরিচালক (মান) আ.ন.ম আসাদুজ্জামান আগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে পরিমাপের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন,  যেকোন পণ্য উৎপাদন কিংবা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি তৈরির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাপের কাঁচামাল ব্যবহার করা জরুরি। এর ব্যত্যয় হলে, উৎপাদিত পণ্য জননিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। তিনি অবকাঠামো নির্মাণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পণ্য ওজন, যানবাহন তৈরিসহ সকল ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ অনুসরণের তাগিদ দেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জননিরাপত্তার জন্য পরিবহনখাতে পরিমাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া জরুরি। তৈরি পোশাক শিল্পের পর ওষুধ শিল্পখাতে মান নিয়ন্ত্রণের ফলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি ওষুধ গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখলে সক্ষম হয়েছে। পরিবহনখাতে মান নিয়ন্ত্রণ করে দেশে রপ্তানিমুখী নতুন শিল্পখাত গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি জনগণের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান।

শিল্পমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, সারা বিশ্বে জনগণের নিরাপত্তা ও ব্যবসায়-বাণিজ্য আস্থাশীল পরিবহন ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। তিনি বলেন, বিশেষ করে উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হলে পরিবহনের ধারণক্ষমতার সমপরিমাণ ওজন পরিবহন নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক; তাহলে পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সার্বিক উন্নয়নে দেশ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে তাঁর দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস।

বিএসটিআই’র বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক অর্জনের কথা তুলে ধরে সংস্থাটির মহাপরিচালক  বলেন, বিএসটিআই’র কয়েকটি ল্যাবরেটরি, প্রোডাক্টস সার্টিফিকেশন সিস্টেম এবং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেশন এ্যাক্রিডিটেশন তথা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। ইতোমধ্যে বিএসটিআই’র ন্যাশনাল মেট্রোলজি ল্যাবরেটরির ৬টি ল্যাব নরওয়েজিয়ান এ্যাক্রিডিটেশন এবং বাংলাদেশ এ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড থেকে এ্যাক্রিডিটেশন অর্জন করেছে। বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে রপ্তানি বাণিজ্যে বাধা অপসারণে এ্যাক্রিডিটেড ল্যাবরেটরিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি