অসাম্প্রাদায়িকতা রুখতে কবিতা
প্রকাশিত : ২০:৫১, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
জঙ্গিবাদ ও অসাম্প্রাদায়িকতা রুখতে কবিতার মাধ্যমে সোচ্চার হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কবি, সাহিত্যিক ও লেখকরা। এসময় তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের আর্দশে দেশ গড়তে কবিতা, গল্প ও সাহিত্যের কোনো বিকল্প নেই।
‘দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতা’ এই শ্লোগানে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসব। আজ রাত ১০টার দিকে অনুষ্ঠাটি শেষ হতে যাচ্ছে।
এবছরও বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০টি দেশের বিশিষ্ট কবিগণ এতে অংশ নিয়েছেন। কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ও মুক্ত আলোচনা মাধ্যমে শেষ হয় প্রথম দিন। দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার সকালে ১১টায় নূহ-উল- আলম লেনিন এর সভাপতিত্বে ‘আমদের মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের কবিতা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগরে শিক্ষক অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কবি আবুল হাসনাত, সৈয়দ আজিজুল হক প্রমুখ।
শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়ে কবিরা বলেন, দেশহারা মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা বাংলাদেশসহ বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই এবারের কবিতা উৎসবের শ্লোগান-দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতা। জাতীয় কবিতা উৎসবের মর্মবাণীতে, কবিতায়, গানে ও কথামালায় তুলে ধরা হয়েছে দেশহারা মানুষের সংগ্রামের কথা, থাকছে তাদের প্রতি সকলের গভীর সহমর্মিতার ।
মুক্ত আলোচনায় ভারত, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, ক্যামেরুনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিশিষ্ট কবিরা জানান কবিতা উৎসব নিয়ে তাদের ভালবাসার কথা। এ উৎসবে প্রবন্ধ উপস্থাপন, আলোচনা, সেমিনারসহ ছিলো কবিতা পাঠের আয়োজন। ভিনদেশীদের স্বরচিত কবিতা পাঠ এবং বাংলা ভাষা ব্যবহারের চেষ্টাও মুগ্ধ করে দর্শক শ্রোতাদের।
টিআর/টিকে
আরও পড়ুন