কোটা আন্দোলনের নেতা তরিকুল
অসুস্থ অবস্থায়ই হাসপাতাল থেকে রিলিজ!
প্রকাশিত : ১০:০১, ৬ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১০:২৮, ৬ জুলাই ২০১৮
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলায় আহত তরিকুলের শারীরিক অবস্থায় অবনতি হয়েছে। এমন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়ার হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় তারিককে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয় বলেতার সহপাঠী মতিউর রহমান জানিয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তার পরিবার তাকে রয়েল হসপিটালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এবিষয় জানতে চাইলে তরিকুলের সহপাটি মতিউর রহমান, ‘তরিকুলের অবস্থা ভালো হয়নি। বরং অবনতি হয়েছে। তার পায়ে শুধু ব্যান্ডেজ করা হয়েছে, এখনো প্ল্যাস্টারও হয়নি। সারারাত ব্যথায় কেঁদেছে। পা নড়াতেই পারছে না। এ অবস্থায় তাকে রিলিজ দেওয়া হলো।
মতিউর আরও বলেন, ‘বিকেল চারটার দিকে রামেক থেকে পুলিশের কাছে তারেকের রিলিজপত্র দেওয়া হয়। পুলিশই তাকে ভর্তি করেছিল তাই। খুব সম্ভবত পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতো। পরে গ্রেপ্তার না করে আমাদের হাতে তুলে দেয়। বিকেল পাঁচটার দিকে আমরা বন্ধুরা মিলে তাকে রয়েল হসপিটালে ভর্তি করেছি। এখনো তার চিকিৎসা শুরু হয়নি।
তারিকের এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, তারিকের ডান পা পুরোপুরি ভেঙে গেছে। এছাড়া মাথায় নয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এর আগে অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান এমএকে শামসুদ্দিন জানিয়েছিলেন, ‘তার ভাঙা হাড় জোড়া লাগতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে। চার সপ্তাহ পায়ের প্লাস্টার রাখা হবে। তার সারা শরীরে যন্ত্রণা হচ্ছে। এখন সম্পূর্ণ বিশ্রাম দরকার।’
তরিকুল বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-আহবায়ক। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন ডা. সুব্রত কুমার প্রামাণিক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা চিকিৎসকের ওপর দিয়ে কোনো কথা বলতে পারবো না। তারা যদি তরিকুলকে রিলিজ দেয়, তাহলে দিবে। এটা তো ডাক্তারেরই কাজ। তারা যা ভাল মনে করেন তাই করবেন।
টিআর/
আরও পড়ুন