আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ গুলশান হামলার হোতাদের খুজে বের করা
প্রকাশিত : ১২:৩১, ১৬ জুলাই ২০১৬ | আপডেট: ১২:৩১, ১৬ জুলাই ২০১৬
গুলশান হামলার হোতাদের খুজে বের করাই আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। অস্ত্র-প্রশিক্ষণ প্রশ্রয়দাতাদের খুজে বের করতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কাজ করছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলছেন, মতাদর্শিক সহিংসতা চর্চা বন্ধ না হলে এধরনের সন্ত্রাসী ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।
দেশের ইতিহাসে জঘন্যতম সন্ত্রাসী হামলা গুলশান ট্রাজেডির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির দাবি করেছে পুলিশ। তবে, তদন্তের স্বার্থে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এসব তথ্য প্রকাশ করা ঠিক হবে না বলে জানান কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় জড়িতদের পূর্বাপর খতিয়ে দেখাসহ দেশে বিদেশে তাদের প্রশয় দাতারাও তদন্তের বিবেচনায় আসছে। আরো জানাচ্ছেন দীপু সারোয়ার।
আলো ঝলোমলে দিন, সবুজ প্রকৃতি আর প্রাণবন্ত হাসি সাথে নিয়েই এই পৃথিবী জয় করতে চেয়েছিলেন ইশরাত আকন্দ নীলা। ...এই মিউজিক ভিডিও’র মডেল হয়ে নীলা সে কথাই যেন বলতে চেয়েছিলেন। গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরায় নিষিদ্ধ জেএমবি জঙ্গিদের বুলেট আর ছোঁরার আঘাত কেড়ে নেয় নীলার জীবন।
নীলার মতো দৃষ্টির সীমার ওপারে চলে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফারাজ আইয়াজ হোসেন ও লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অবিন্তা কবীর। গত ১৯ মে গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়িতে আসেন ফারাজ। আর গত ২৭ জুন দেশে এসেছিলেন অবিন্তা।
শুধু তাই নয়, এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯ ইতালিয়ান, ৭ জাপানিজ ও ১ ভারতীয়।
উজ্জ্বল এই মুখগুলোর সাথে ধর্মভিত্তিক জঙ্গিদের কি বিরোধ ছিল? তথাকথিত ‘ইসলামি খেলাফত’ পন্থীরা আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে সাড়া জাগাতেই হত্যা করা হয় তাদের বলছেন, নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
হোলি আর্টিজান ট্রাজেডির ঘটনায় ৪ জুলাই গুলশান থানায় পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে। এতে, জিম্মি সংকট অবসানে কমান্ডো অভিযানে নিহত ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলের আলামত সংগ্রহ এবং সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে চলছে মামলার তদন্ত, বলেন তিনি।
আরও পড়ুন