ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

উদীচীর সমাবেশে বোমা হামলার ২২ বছর

আইনি জটিলতায় থমকে আছে বিচার

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৫১, ৬ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ১২:৫২, ৬ মার্চ ২০২১

যশোরে উদীচীর সমাবেশে বোমা হামলার ২২ বছর পূর্তি আজ। হত্যাযজ্ঞের এতোগুলো বছর পার হলেও আইনি জটিলতায় থমকে আছে বিচার কাজ। ফলে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে নিহতদের পরিবার, আহত ও উদীচী কর্মীদের মাঝে।

১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ যশোরের টাউন হল মাঠে চলছিল উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান। গভীর রাতে হঠাৎ মঞ্চের দু’পাশে ঘটে বিষ্ফোরণ। এ ঘটনায় নিহত হন ১০ জন। আহত হন আড়াইশ’ । যাদের অধিকাংশই এখন পঙ্গু।

উদীচী হত্যাযজ্ঞে পঙ্গুত্ব বরণকারী নাহিদ জানান, ২২টি বছর পার হয়ে যাওয়ার পর আজ পর্যন্ত আমরা বিচার কি জিনিস শুনতে পারিনি, দেখতে পারিনি।

বিভীষিকাময় এ ঘটনায় সাথে জড়িতদের শনাক্ত ও বিচার না হওয়ায় হতাশ হতাহতদের পরিবার।

নিহত উদীচীকর্মী নাজমূল হুদা তপনের বড়বোন রেশমা খাতুন বলেন, ভাই মারা গেছে কষ্টটা আমাদেরই, এটা বলে বুঝাতে পারবো না। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই। 

এ ঘটনায় দুটি মামলা হলেও সিআইডির ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিটের কারণে ২০০৬ সালের ৩০ মে আদালত থেকে খালাস পেয়ে যায় মামলার সব আসামি। উচ্চ আদালতে আপিল করলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হলেও আটকে আছে আইনের বেড়াজালে।

যশোর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ইদ্রিস আলী বলেন, বর্তমান এটর্নি জেনারেল মহোদয়ের সাথে আমি যোগাযোগ করেছি এবং উনি আমাকে কথা দিয়েছেন যে, আপিল দ্রুত নিষ্পত্তি করবেন।

নৃশংস এই হামলার কুশলীবদের ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে, বললেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা। 

যশোর উদীচীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এটা যে উদীচী সংগঠনগতভাবে আমাদের উপর হামলা হয়েছে এটা মনে করি না। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে অর্জন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা সেটার উপর আঘাত।

বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। ২৩ আসামির মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা আছে জামিনে।
দেখুন ভিডিও :

এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি