আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করলো টাইগ্রেসরা
প্রকাশিত : ১৬:৫৯, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম দুই ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে পথটা সহজ করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তৃতীয় ম্যাচেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সহজ জয় পেয়েছে টাইগ্রেসরা। এর মধ্য দিয়ে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে কোনো প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ডের তৃপ্তি মিলল টাইগ্রেসদের।
এর আগের ওই দুই ম্যাচে হয়েছিল তিনটি রেকর্ড। আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়ার পথে তৃতীয় ওয়ানডেতে আরও দুটি রেকর্ডের স্বাদ নিল বাংলাদেশ। ফারজানা হক পিংকি ও শারমিন আক্তার সুপ্তা গড়লেন এই সংস্করণে জাতীয় দলের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আইরিশ নারীদের বিপক্ষে বাংলাদেশের নারীরা পেয়েছে ৭ উইকেটের অনায়াস জয়। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে পুরো ৫০ ওভার খেলে ১৮৫ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা।
জবাবে ৭৫ বল হাতে রেখে ৩ উইকেট খুইয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে স্বাগতিক দল। তবে, সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৯ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন (৮)। তিনে ব্যাট করতে নেমে ফারজানা হককে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন শারমিন আক্তার সুপ্তা।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। অপর প্রান্ত থেকে ফিফটি তুলে নেন ওপেনার ফারজানাও। এরপর পিচে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি এই দুই ব্যাটার। ৮৮ বলে ৭২ রান করে শারমিন আউট হলে ৬১ রান করে তাকে সঙ্গে দেন ফারজানা। এতে দলীয় ১৬৫ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
এরপর শোবাহানা মোস্তারির ৭ রান এবং নিগার সুলতানা জ্যোতির অপরাজিত ১৮ রানে ভর করে ৭৬ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা। দলীয় ৯ রানেই বাংলাদেশের ডানহাতি স্পিনার সুলতানা খাতুনের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সারাহ। এরপর ওয়ান ডাউনে নামা অ্যামি হান্টারকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন আইরিশ অধিনায়ক।
দলীয় ৫২ রানে রাবেয়া খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন অ্যামি হান্টার। তার ব্যাক্তিগত ২৩ রান তোলার আগে ৪০ বল খরচায় ছিল একটি চারের মার। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন সফরকারী অধিনায়ক। নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের ৯ম ফিফটি তুলে নেন তিনি।
এরপর পিচে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লুইস। ৭৯ বলে ৫২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দলীয় ১০৭ রানের মাথায় রান আউটের ফাঁদে সাজঘরে ফেরেন লেয়া পল। তবে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মিডল অর্ডার ব্যাটার ওরালা প্রেন্ডারগাস্ট।
তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৪৫ বলে ২৭ রানে স্বর্ণা আক্তারের তৃতীয় ওভারে বোল্ড হয়ে ফেরেন প্রেন্ডারগাস্ট। পরের ওভারেই বল তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ফাহিমা খাতুনের হাতে তুলে দিয়ে সুলতানা খাতুনের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন উনা রেমন্ড-হোই। এতে দলীয় ১২৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আইরিশরা।
অষ্টম উইকেটে আর্লেন কেলিকে সঙ্গে নিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন আলানা ডালজেল। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি দুজনের কেউই। কেলি ১৮ রান এবং ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডালজেল। এরপর কারা মুরাই (১৩) এবং অ্যামি ম্যাগুয়ার ৩ রান করে আউট হলে নির্ধারিত ওভারে ১৮৬ রান করে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড।
এদিকে, এই সিরিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল নাহিদা-জ্যোতিদের কাছে। কারণ, আসন্ন ভারত বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে ৬টি ম্যাচের সব কটিতেই জিততে হবে বাংলাদেশকে। এই ৬ ম্যাচের বাকি ৩টি খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তাই আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে নিজেদের আত্মবিশ্বাস মজবুদ করল টাইগ্রেসরা।
এমবি