আকস্মিক ঝড়ে বঙ্গোপসাগরে ২৯ জেলেসহ দুই ট্রলার ডুবি
প্রকাশিত : ০৯:০০, ২৯ জুলাই ২০২৩
কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে ২৯ জেলেসহ দুটি মাছধরা ট্রলার ডুবে গেছে।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝড় এবং উত্তাল ঢেউয়ের কবলে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে এফবি মুনিয়া নামের মাছধরা ট্রলারের সবাই উদ্ধার হলেও এফবি জোবায়ের নামে একটি মাছধরা ট্রলারের জেলে রবিউল এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
ট্রলার ডুবির ঘটনার পর সাগরে ভাসমান অবস্থায় ২৮ জেলেকে নিকটবর্তী থাকা একটি মাছধরা ট্রলারে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় ডুবে যাওয়া ট্রলারসহ মাছধরা সরঞ্জাম উদ্ধার করতে পারেনি। উদ্ধারকৃত জেলেদের বাড়ী পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী গ্রামে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হওয়া জেলেদের নিয়ে মহিপুর মৎস্য বন্দরে পৌঁছানোর পর এর বিস্তারিত জানা যায়।
মহিপুর গাজী ফিসের স্বত্ত্বাধিকারী মজনু গাজী জানান, রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবীর বশির মেম্বারের এফবি মুনিয়া ট্রলারটি তাঁর আড়ৎ থেকে সমুদ্রে মাছ ধরার উদ্দ্যেশ্যে যায়, শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ ঢেউয়ের তাণ্ডবে পড়ে ডুবে গেছে। কাছাকাছি থাকা অন্য মাছধরা ট্রলার ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৪ জেলেকে উদ্ধার করে মহিপুরে নিয়ে আসতে সক্ষম হন। এসময় ট্রলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।
এছাড়া একই এলাকার এফবি জোবায়ের ট্রলারের মালিক ইলিয়াস মৃধা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মহিপুর বন্দর থেকে তার ট্রলারটি ছেড়ে যায়। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে জাল ফেলার সময় আকস্মিক ঝড় এবং উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
মহিপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজা মিয়া জানান, মহিপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির দুটি মাছ ধরা ট্রলার শুক্রবার সমুদ্রে ডুবে গেছে, এখনও ট্রলার দুটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ট্রলারে থাকা ২৯ জেলের মধ্যে ২৮ জেলেকে উদ্ধার এবং এক জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
রাজা মিয়া দাবি করেন, দুটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় অন্তত ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন