আগস্টে পালিয়ে এসেছে ৩৫শ’ রোহিঙ্গা
প্রকাশিত : ১৫:৩০, ২৪ আগস্ট ২০১৭
চলতি মাসে মিয়ানমার থেকে ৩৫শ’ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কথিত মুসলিম বিদ্রোহী এবং বিচ্ছিন্নতাকামীদের নির্মূল করতে সার্জিক্যাল অপারেশন শুরুর ঘোষণা দিয়ে সেনা উপস্থিতি বাড়াতে শুরু করে। তখন মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্য থেকে নতুন করে বাংলাদেশ সীমান্ত পার হতে শুরু করে রোহিঙ্গারা।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরা গত ১২ আগস্ট জানিয়েছিল, মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের সুনির্দিষ্ট অঞ্চলে নতুন করে কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
নতুন করে অভিযান চালানোর স্বার্থে সেখানে মোতায়েনকৃত সেনার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। ১৭ আগস্ট সাউথ এশিয়া মনিটর-এর প্রতিবেদনে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলা হয়, সেনা অভিযান শুরু হয়েছে।
রোহিঙ্গা নেতারা বুধবার জানিয়েছেন, সম্প্রতি নতুন উত্তেজনার পর প্রায় ৩৫০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নাফ নদীর কাছাকাছি কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের আলাদা কোনো জাতিগোষ্ঠী মনে করে না মিয়ানমার। বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত এই জনগোষ্ঠীকে তারা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করে। তবে রোহিঙ্গারা নিজেদের মিয়ানমারের নাগরিক বলেই জানে। নাগরিকত্বকে তারা অধিকার হিসেবেই দেখে।
বালুখালি শিবিরের আব্দুল খালেক নামের একজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, কেবল বালুখালি শিবিরেই রাখাইনের গ্রামগুলো থেকে ৩ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। অপর এক শরণার্থী শিবিরে থাকা কামাল হোসেন বলেন, গত ১১ দিনে প্রায় ৭শ’ রোহিঙ্গা পরিবার সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
সামরিক বাহিনীর অক্টোবর অভিযানে রাখাইনে পরিকল্পিত ধর্ষণ, খুন ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে মিয়ানমার। অক্টোবরের সেই দমন অভিযানে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় নিপীড়নের শিকার প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা।
সূত্র: এএফপি।
আর/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন