আগুন নেভাতে এত সময় লাগল কেন, নেপথ্যে ষড়যন্ত্র?
প্রকাশিত : ১৪:০১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৪:০৯, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক সদর দপ্তর সচিবালয়। সরকারের সকল নির্বাহী বিভাগীয় কার্য এখান থেকেই যেমন সম্পন্ন হয়। তেমনি দেশের গোটা প্রশাসন ও সরকারি কর্মকান্ডের নিয়ন্ত্রণ করা হয় এই সচিবালয় থেকেই। প্রশাসনের সেই প্রাণকেন্দ্র আগুনে পুড়েছে ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে। মধ্য রাতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে সকালে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, আগুন নেভাতে এতো সময় কেন লাগলো?
নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন, সচিবালয়ের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে আগুনের ঘটনা কিভাবে। আর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ছয় ঘন্টা সময় লাগে? কেউ আবার আগুরের পিছনে ষড়যন্ত্র দেখছেন। বলেছেন এই দেশ নিয়ে এত ষড়যন্ত্র কেন?
কেউ বলছেন, এত সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও আগুন নেভাতে কেন এত সময় লাগলো। এই আগুন পরিকল্পিত কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ। এই আগুন পরিকল্পিত হলে তার সুষ্ঠু তদন্ত করার আহ্বান তাদের।
আগুন নেভাতে এতগুলো ইউনিটের এত সময় কেন লেগেছে, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালককেও একই প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। এই প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল জানান, জায়গাটা আবদ্ধ। সব কক্ষ ভেতর থেকে আটকানো থাকায় গ্লাস বা দরজা ভেঙে পানি দিতে হয়েছে। এতে সময় লেগেছে।
তিনি আরও জানান, ভবনজুড়ে বিদ্যুতের তারের সংযোগের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় নেভাতে বেগ পেতে হয়। এছাড়া রুমগুলোতে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় বলেও জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলেন, আগুন ছড়িয়ে পড়ার একটি বড় কারণ হলো, মন্ত্রণালয়গুলো কাঠ দিয়ে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করেছে। এটি যখন করা হয়, তখন নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু কাঠ দিয়েই সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি রুম ছিল বন্ধ। তালা ভেঙে, জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকতে হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় সচিবালয়ে ঢোকার ফটক সম্প্রসারণ করার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু কেউ কথা শোনেনি। যে কারণে আগুন নেভাতে সময় লেগেছে।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ওই ভবনে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এর মিনিট দুয়েক পরই সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
এমবি
আরও পড়ুন